নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
স্থায়ী ভাবে রক্ষা বাঁধের পরিকল্পনা চলছে বলে প্রধান অতিথির বক্তব্য বলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র এড জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় এর সভাপতিত্বে মেয়র আরো বলেন, আমাদের বড় পরিচয় আমরা মানুষ, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। তাই বর্তমান সরকার আমলে হিন্দু মুসলিম আমরা কাধে কাধ রেখে নিজেদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করি, আমি আগে যেমন আপনাদের পাশে ছিলাম সব সময় থাকবো, তাছাড়া মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আমাদের আলোচনা চলছে পুরান বাজারকে মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষা করতে স্থায়ী বাধের পরিকল্পনা চলছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক, এড রনজিৎ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, চাঁদপুর প্রেসক্লাব এর সহ সভাপতি লক্ষ্মণ চন্দ্র সুত্রধর, চেম্বার সহ সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মালেক শেখ, সাংবাদিক বিমল চৌধুরী, সভা পরিচালনা করেন কার্তিক সরকার। এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান এর ন্যায় চাঁদপুর—পুরানবাজার হরিসভা মন্দিরের পাশে মেঘনা নদিতে শনিবার ভোর থেকে উৎসব মুখর পরিবেশে অষ্টমী স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
হে মহা ভাগ ব্রহ্মপুত্র, হে লৌহিত্য আমার পাপ হরণ কর” এ মন্ত্র উচ্চারণ করে পাপ মোচনের আশায় পূণ্যার্থীরা মেঘনার নদে স্নানে অংশগ্রহণ করেন। স্নানের সময় কয়েক রকম ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, হরিতকি, ডাব, আম ও আম পাতা ইত্যাদি পিতৃকুলের উদ্দেশ্যে নদের জ্বলে তর্পণ করছেন পূণ্যার্থীরা।
৮ এপ্রিল ২৪ চৈত্র শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টা ১১ মিনিট স্নানের লগ্ন শুরু হয় এ বছর স্নান উৎসব শেষ হবে শনিবার দিবাগত রাত ১১টায়। লগ্ন শুরুর পরপরই কাঁক ডাকা ভোরে স্নানার্থীদের ঢল নামে মেঘনা নদে। স্নানঘাটে দল বেধে, সপরিবারে কেউবা এককভাবে ধর্মীয় রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী স্নানে অংশ নিচ্ছেন তারা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতশত পূণ্যার্থীর আগমন ঘটছে। তাদের পদভারে মুখরিত হয়ে হাজার হাজার ধর্মাবলম্বীর ঢল নামে।
স্নানকে উৎসব মুখর করে তুলতে হরিসভা রাস্তার দুই পাশে বসে মেলার দোকান, দোকানীরা লোহার তৈরি দা কাচিসহ নানাহ ধরনের ব্যবহারিক সামগ্রী বিক্রি করতে দেখা যায়, আর শিশুদের জন্য খেলনা দোকানও বসে, অপর দিকে হরিসভা মন্দির মাঠে জিলাপি মিষ্টি দই সহ নানাহ দরনের মিষ্টি জাতিয় দোকান বসে, এতে করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান আরো মুখরিত হয়ে পরে। যদি মূল অনুষ্ঠান সকাল ৭ টার সময় শুরু করে দুুপুর নাগাদ শেষ হয়। করোনা কালীন সময়ের দুই বছর স্নান অনুষ্টিত না হলেও এবার ব্যাপক উদ্দীপনায় শুরু হয়ে। শুক্রবার রাতে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি, স্নানের স্থান পরিদর্শন করে কঠোর নিরাপত্তার জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন, তার আলোতে, শুক্রবার রাঁত থেকে পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল রানার নেতৃত্বে নিরাপত্বার দায়িত্ব শুরু করেন, শনিবার মেঘনার বুকে টহল দেয় চাঁদপুর নৌ পুলিশ টিম, কোষ্টগার্ডসহ পুরানবাজার ফায়ার সার্ভিস টিম সহ ডুবরি দল, তবে এবছর বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বা কেউ নিখোজ হয়নি। পরিশেষে আগত অতিথিরা মন্দিরগুলি ঘুরে দেখেন।