৩ নভেম্বর ঐতিহাসিক জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে গতকাল ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ।
সভাপতি বক্তব্য তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ ও মুক্তি সংগ্রামে জাতীয় চার নেতা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ, শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও শহীদ এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান এর অবিস্মরণীয় অবদান, সীমাহীন আত্মত্যাগ, বঙ্গবন্ধু’র নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা এবং রাজনৈতিক সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। জাতীয় চার নেতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলেই দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবো এটাই আজকের দিনের অঙ্গীকার।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ধারাবাহিকতায় আড়াই মাসের মাথায় জাতীয় এই চার নেতাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে ঘাতকরা। কারাগারের মতো কঠোর নিরাপত্তা প্রকোষ্ঠে এ ধরনের নারকীয় হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।
সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, মানবতাবোধের চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার সাক্ষী জেল হত্যা দিবস, বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের নাম জেল হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে বিনা বিচারে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্র বর্বরোচিতভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এর কিছুদিন পরই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ইতিহাসের আরেকটি বর্বর হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতাকে। স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর আজীবন রাজনৈতিক সহকর্মী, তার অবর্তমানে যারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেন সেই জাতীয় চার নেতা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, সদস্য অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরণ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্টু দেওয়ান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জু মাঝি, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা
আব্দুল মালেক দেওয়ান, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আমির উদ্দিন মন্টু, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান, জেলা যুবলীগের সদস্য কামরুজ্জামান লিটনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা।