শিরোনাম:
বর্ণিল আয়োজনে চাঁ.স.ক শিবিরের প্রকাশনা উৎসব কচুয়ায় একটি বাড়ি নিয়ে ‘ধৈয়ামুড়ি’ গ্রাম স্কুল মাঠে খেলতে গিয়ে আ*গু*নে ঝলসে যাওয়া বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে ফরিদগঞ্জে নোয়াপাড়া নাইট মিনি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন— মতলবে শিশু আদিবার হ*ত্যা*কারী ইমনের বসত*ঘর পুড়ি*য়ে দিলো উত্তে*জিত জনতা মতলব দক্ষিণে উষার স্পোটিং ক্লাবের কর্যালয়ে হামলা ও ভাং*চুর অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মতলবে জহির মিজির সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্য লিফটের বিতরন ও পথ সভা অনুষ্ঠিত মতলব উত্তর থানা পুলিশ কর্তৃক ০৯ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

মতলবে জলাশয়ের মাছের পেটে চলে যাচ্ছে ৫ গ্রামের মানুষের কবরস্থানসহ বসত বাড়ি

reporter / ১৩৫ ভিউ
আপডেট : সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩

মতলব উত্তরে এক জলাশয়ের মাছে গিলে খাচ্ছে ৫ গ্রামের কবর স্থানসহ জলাশয়ের পাশে থাকা ঘর বাড়ি। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয়রা। জানা যায়, ১৯৮৬-৮৭ অর্থ বছরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মেঘনা-ধনাগোধা স্বেচ-প্রকল্প তৈরি হয়। এর ফলে ৬০ কিলোমিটার একটি বেরীবাঁধ দেওয়া হয়েছে। এই বেরীবাঁধ হওয়ার কারনে সবকটি খালের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। পরে মানুষদের চলাফেরা করার কারনে রাস্তা তৈরি করে। এ কারনে কিছু খালের অপর মুখও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খাল থেকে হয়ে যায় জলাশয়। এই জলাশয়গুলো সরকারীভাবে লিজ এনে মাছ চাষ করে। আবার কোন কোন জলাশয়গুলো লিজে এনে স্থানীয়ভাবে আবার নতুন করে বেশি দামে লিজ দেয়। ফলে লিজ গ্রহীতা বেশি লাভের বেশি প্রজাতি ও রাক্ষুসে মাছ চাষ করে। ফলে মাছ অনেক দৌড়াদৌড়ি করে ডেউ তোলে। এতে জলাশয়ের পাড় ভেঙে যায়। আবার কিছু মাছ মাটি খনন করে, তাতেও পাড় ভেঙে যায়।

এমনই একটি জলাশয় রয়েছে ছেংগারচর পৌরসভার নয়াকান্দী শিকিরচরে। ঐ জলাশয়ের মাছগুলো পূর্ব পাড়ের জমি, ঘর বাড়ি ও কবর স্থানসহ গিলে খাচ্ছে। প্রতি বছর এই জলাশয়ে লাখ লাখ টাকার ডাক হয়, লাখ লাখ টাকা আয় হয়। কিন্তু প্রতি বছর মাছে যাদের জায়গা গিলে খাচ্ছে তাদের কোন উন্নয়ন হয়না এই টাকা দিয়ে, এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

তাছাড়া এখানে রয়েছে উত্তর শিকিরচর, দক্ষিণ শিকিরচর, পূর্ব জোরখালী, পশ্চিম জোড়খালী, বারোআনী এই ৫টি গ্রামের কবরস্থান। জলাশয়ের পূর্ব পাড় ভেঙে চলে যাচ্ছে কবরস্থানের ও বসত বাড়ির কাছে। এভাবে অনবরত ভাঙতে থাকলে এই কবরস্থানটি ও বসত বাড়ির গিলে খাবে মাছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে এলাকার লোকজন। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে ভুক্তভোগীরা। তারা জানান, সংশ্লিষ্টদের কাছে গিয়েও প্রতিকার পাইনি। জমি মালিকদের দাবী জলাশয়ের পূর্ব পাশের পাড়ে দ্রুত গাইড ওয়াল দিতে হবে। কারন তাদের সম্পত্তি ঝুঁকির মধ্যে আছে।

এ বিষয়ে লিজ মালিক বাবুল মেম্বার বলেন, আমি জলাশয় একটা নির্দিষ্ট সময়ে জন্য লিজ নিয়েছি, লিজের সময় শেষ হলে আমি চলে যাবো। পাড় রক্ষা করা আমার দায়িত্ব না। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল-এমরান বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। বসত বাড়ি ও কবরস্থান রক্ষার জন্য গাইড ওয়াল নির্মাণ করা প্রয়োজন। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। বরাদ্দ পেলে গাইড ওয়াল নির্মাণ করে দেওয়া হবে। তবে সাময়িক রক্ষার জন্য বাঁশ দিয়ে হলেও বেরী দেওয়া উচিত।


এই বিভাগের আরও খবর