শিরোনাম:
মতলবে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, মালামাল লুট মতলব দক্ষিণে পরিত্যক্ত রান্নাঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার মতলব উত্তরে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল মতলব দক্ষিণে ভেটেরিনারি ফার্মেসীগুলোতে অভিযান, চাঁদপুরে সম্পত্তিগত বিরোধ : হাতুড়ির আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু মতলবে সরকারি গাছ নিধন: বনবিভাগ-এলজিইডির দোষারোপে জনরোষ মতলব উত্তরে নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত মতলব সরকারি কলেজে নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত আমিরা বাজার থেকে লতিফগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা চাঁদপুর ২ আসনের বিএনপি নেতা তানভীর হুদার রাজনৈতিক প্রচারণায় ডিজিটাল যাত্রা, চালু করলেন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

চাঁদপুর লঞ্চঘাটের বর্জ্য নদীতে ফেলায় দূষিত হচ্ছে পানি

reporter / ২৮০ ভিউ
আপডেট : শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁদপুর থেকে সরাসরি ও ভায়া হয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক ছোট-বড় লঞ্চ-স্টিমার চলাচল করে আসছে। আর এসব নৌযানে প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় তিন লক্ষাধিক যাত্রীসাধারণ চলাচল করে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই অনেক ময়লা-আবর্জনা জমে এসব লঞ্চে। সেখানে চিপস, বিস্কুটের প্যাকেট, পানির বোতলসহ অপচনশীল বস্তুও থাকে। বিশেষ করে যাত্রীবাহী লঞ্চে এর পরিমাণ বেশি থাকে। কিন্তু এসব বর্জ্য যায় কোথায়-এ প্রশ্ন পরিবেশবাদী ও সচেতন নাগরিকদের।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দেখা যাচ্ছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ স্থলভাগের নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে তা প্রকাশ্যেই নদীতেই ফেলছে। যে জন্য প্রতিনিয়ত এসব ময়লা-বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। অথচ দূষণ ঠেকানোর কোনো উদ্যোগ নেই কারও। কেউ কোনো কিছু বলছেও না।
লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি মো. বিপ্লব সরকার জানান, লঞ্চের ময়লা-আবর্জনাই শুধু নদীতে ফেলা হয়, অন্যরাও ফেলে। অথচ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ লঞ্চের ভেতর একাধিক ডাস্টবিন রেখেছেন। কিন্তু মানুষ সচেতন না হওয়ায় বিভিন্নভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। লঞ্চঘাটে ভাসমান কিছু দোকান আছে এবং হোটেল রয়েছে তাদের বর্জ্যগুলোও মেঘনা নদীতেই ফেলা হয়। আমরা বহুবার পৌরসভাকে বলেছি নির্দিষ্ট একটি ডাস্টবিন রাখতে। কিন্তু সেটা এখনো হয়নি। পৌরসভা যদি নির্দিষ্ট স্থান রাখে তাহলে আমরা নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলতে পারব।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও পরিবেশবিদ সেলিম আকবর জানান, লঞ্চঘাটে এলে যাত্রীসাধারণ নেমে যাওয়ার পর লঞ্চের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝাড়ু দিয়ে লঞ্চের ময়লা-বর্জ্য প্রতিনিয়ত নদীতে ফেলছে। ময়লা-আবর্জনায় রয়েছে প্লাস্টিক-পলিথিনজাতীয় অপচনশীল দ্রব্য, যা ৫শ বছরেও নষ্ট হবে না। এতে একদিকে যেমন প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে, অপরদিকে নদীর নাব্য হ্রাসে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। সেই সঙ্গে মাছ ও জলজ জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যাপিকা সাহানা বেগম জানান, আমি প্রায়ই দেখি চাঁদপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চ ভেড়ার পর যাত্রী সব নেমে গেলে ওই লঞ্চের পরিত্যক্ত সব ময়লা-অবর্জনা ঝাড়ু দিয়ে সরাসরি নদীতে ফেলছে। এভাবে প্রতিটি লঞ্চ থেকে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে বহু আগে থেকেই।
বিআইডব্লিটিএ চাঁদপুরের উপপরিচালক শাহাদাত হোসেন বলেন, নদীর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে আমরা বিভিন্নভাবে কাজ করছি। তবে নতুনভাবে লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষকে অবগত করে ইতঃপূর্বে লঞ্চের বর্জ্য-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে উল্লেখ আছে তারা লঞ্চঘাটের নির্দিষ্ট এরিয়ায় ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন। কোনো অবস্থাতেই যেন নদীতে ফেলা না হয়। টার্মিনালে ময়লা-আবর্জনা ডাম্পিং স্টেশনের বিষয়ে মেয়রের সঙ্গে কথা বলে তার সহযোগিতা নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
এসব বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, পৌরসভা থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ঝাড়ু দেওয়াসহ নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। লঞ্চের আবর্জনা টার্মিনালের ওপরে নির্দিষ্ট একটি স্থানে ফেলার জন্য নির্দেশ দেওয়া আছে, যাতে সেখান থেকে সব আবর্জনা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা গাড়িতে করে নিয়ে আসতে পারে। আমি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।


এই বিভাগের আরও খবর