শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন পরেশ চন্দ্র পাল ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউট সম্পাদক দুর্নীতি ও অনিয়ম ধামাচাপা দিতে ঘুরছেন বিভিন্ন মহলের ধারে ধারে চাঁদপুরের ৮ উপজেলা সহ দেশের ৪৯৫ টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারন চাঁদপুর জেলার ৭টি সহ সারাদেশে ৩২৩ পৌরসভার মেয়র অপসারণ ফরিদগঞ্জে কুকুরের কামড়ে আহত ২০ কচুয়ায় মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার মেঘনায় কার্গোর ধাক্কায় তলা ফেটেছে সুন্দরবন -১৬ লঞ্চের, নারী নিখোঁজ ষোলঘর আদর্শ উবি’র ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডঃ হুমায়ূন কবির সুমন কচুয়ায় নবযোগদানকৃত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে শিক্ষক সমিতি শুভেচ্ছা মতলব উত্তরে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা

ভালো ভোটার চাই; ভালো জনপ্রতিনিধি স্বার্থে !

reporter / ২২১ ভিউ
আপডেট : সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩

মাহবুব আলম প্রিয়ঃ
বহু পুরনো একটা কথা প্রচলিত আছে। যোগ্য প্রার্থী, যোগ্য জনপ্রতিনিধি, যোগ্য নেতৃত্বের  কথা শুনতে শুনতে কান অভ্যস্থ। পড়তে পড়তে ঠোঁট ক্লান্ত। দেখতে দেখতে চোখে ঝাপসা দেখি। কারন যোগ্যরা আর যোগ্যতার আসনে নাই। অনেকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজি, ঠিকাদারিতে নয় ছয়, বিদেশে টাকা পাচার, নারী ক্যালেঙ্কারী, ভোট জালিয়াতি,জবর দখল, জুলুম অত্যাচার, খেলাপিসহ নানা অপকর্মের৷ তখন আর যোগ্য শব্দের বেঁচে থাকার অধিকার থাকে না। সবাই যখন ভাবছেন যোগ্য প্রার্থীর কথা। আমি ভাবছি আমার কথা। আমি একদিকে দেশের নাগরিক অন্যদিকে একজন ভোটার। আমাকে যখন প্রশ্ন করি,  আমি কতটুকু যোগ্য ভোটার তখন নিজের কাছেই লজ্জিত হই। কারন,  আমার মতামত আমি যোগ্যস্থানে প্রয়োগ করতে পারিনা। কারন, যারা প্রার্থী হয় তাদের কারোই পছন্দ হয় না। অতঃপর আমার মতো ভোটারের আর কিই বা করার থাকে। আমার বিবেকের বিচারে প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় শুধুমাত্র আমার কাছে যৌক্তিক কারন হলো, আমি সচেতন হিসেবে দেখি, যারা নির্বাচনে প্রার্থী হন তাদের অনেকেই টাকা ওয়ালা হিসেবে ভোটারদের প্রভাবিত করে জয়ী হয়ে থাকেন। অথচ টাকা ওয়ালার বাস্তবিক দেশের প্রতি তেমন দরদ নাই। মানুষের খুব একটা ভালো চাননা। কিন্তু অবৈধ পন্থায় সমাজের ক্ষমতাবানদের পকেটস্থ করার ক্ষমতা,  কৌশলে নিরীহদের যাদুর মতো ছলনা করে পাশে রাখার ক্ষমতা রয়েছে। এমন প্রার্থী সবাই না।তবে সারা দেশে বহু রয়েছে। তাই আমি মনে করি একজন ভোটারকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
আমরা জানি, ভোট হলো কোনো সমষ্টিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা প্রতিনিধি নির্বাচনের উদ্দেশ্যে কোনো সভা, সমিতি বা নির্বাচনী এলাকায়, মতামত প্রকাশের একটি মাধ্যম বা পদ্ধতি। পুরো বিশ্বেই গণতান্ত্রিক দেশে এটি কার্যকর পন্থা।  সাধারণত আলোচনা, বিতর্ক বা নির্বাচনী প্রচারণার পর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ দায়িক্ত লাভ করেন। একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। ভোটদানের অধিকার সম্পন্ন ব্যক্তিদের বলা হয় “ভোটার”।
আক্ষরিক অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মতামত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ভোটারের। তাই যেখানে ভোটারের এতো ক্ষমতা সেখানে ভোটার কোন মাপের তা এখন ভাবার বিষয়।
 আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক নানা ভাবে ভোটগ্রহণে ভোটাররা সাধারণত ব্যালটের মাধ্যমে নিজেদের নেতা নির্বাচন করা করে থাকেন। যেমন কোনো রাজনৈতিক সমিতির সদস্য নির্বাচন বা কর্মক্ষেত্রে দায়িক্ত নির্ধারণে সংঘঠিত হয়। আর অনানুষ্ঠানিক ভোটদান মৌখিকভাবে, বা হাত তোলার মাধ্যমে অথবা বৈদ্যুতিকভাবে ঘটতে পারে।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে, নির্বাচকমণ্ডলী পছন্দের প্রার্থীদের সরকার গঠনের জন্য মনোনীত করেন। নির্বাচনে অধিকাংশ প্রার্থী কোন না কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে বেশ কিছু সংখ্যক দল থাকলেও, নির্বাচন সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় দুটি প্রতিপক্ষ দলের মধ্যেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
পরোক্ষ গণতন্ত্রে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত ব্যক্তি, অন্যান্য কর্তৃপক্ষের নিকট কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্বাচকমণ্ডলীর আকাঙ্ক্ষা এবং দলের নীতির প্রতিনিধিত্ব করেন। অন্যদিকে, প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রে, নির্বাচিত ব্যক্তি নীতিসমূহ বাস্তবায়নে স্বাধীন এবং তৃতীয় কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট নীতিগুলি পাস করার প্রয়োজন হয় না।
যখন বেশিরভাগ ভোটার একই প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেন তাকে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট বলা হয়।  প্রশ্ন হলো এসব সংখ্যা গরিষ্ঠ ভোটারদের মাঝে যখন প্রার্থীকে ভোটের বিনিময়ে অর্থ খোয়াতে সহযোগীতা করে, তখন প্রার্থী  বাধ্য এখানে বিনিয়োগ করে টাকা, ক্ষমতা, জনবল।
একজন ভোটার যদি ৫ বছর পর পর মাত্র ৫ শত টাকা থেকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে নিজের মুল্যবান, মুল্যমান ভোট অপাত্রে দান করেন তখন ভালো প্রার্থী পাওয়া কেবল মুখের বুলি। অথচ সমাজে বহু যোগ্য সম্পন্ন লোক রয়েছে শুধুমাত্র পেশি শক্তি, টাকা কম থাকায় প্রার্থী হওয়ার সাহস করে না। কারন, তাদের সভা সমাবেশ করার, বক্স,মাইক, ডেকোরেটর চেয়ার, খিচুড়ি, বিরিয়ানি করার ক্ষমতা থাকে না। অথচ ভোটাদের একটি অংশের চাহিদায় রূপ নিয়েছে যে, কোন নেতা বা প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান, মিছিল, মিটিংএ অংশ নিয়ে তার পক্ষে জয়গান গাইবে। অথচ উক্ত নেতা বা প্রার্থীর রয়েছো ফৌজদারিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ।  রয়েছে হত্যা মামলার আসামীর মতো জঘন্যতম ঘটনা। তবুও কিছু ভোটারের কাছে ওই ধরনের প্রার্থীর যোগ্যতা হলো, টাকা আর ক্ষমতা।  টাকা আছে তো প্রার্থীর চারিত্রিক, সামাজিক মর্যাদা, শিক্ষাগত যোগ্যতা মাপার কথা চিন্তাই করে না। যেখানে এ ধরনের ভোটারের সংখ্যা গরিষ্ঠ বলয়ে রূপ নিয়ে থাকে।
এক শ্রেণির মাদক কারবারিও আজকাল টাকার জোরে প্রার্থী হয়। তারা তরুণদের এক বোতল ফেন্সিডিল, ২ পিছ ইয়াবা, বক্স বাজিয়ে নারীর সাথে নাচের, জমি দখল করে কিছু অর্থের লোভ দেখিয়ে কাছে রাখে।  বয়স্ক বা যুবক শ্রেণির ভোটাররাও এসব প্রার্থীদের দ্বারা প্রভাবিত হয় নানভাবে। কাউকে লুঙ্গি গামছা দিয়ে, কাউকে ব্যবসায়ীক সুবিধার লোভ দেখিয়ে, কাউকে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে কাছে টাকা। আবার  সমাজের নারী গৃহবধূরাও ভোটার।  তবে তারা প্রথমত সংসারী। পিতা অথবা স্বামী সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয়। দ্বিতীয়ত তাদের অনেকেই তেমন আয় রোজগার করেন না।  শুধুমাত্র ঘর সামলানোর কাজ করেন। এ ধরনের গৃহবধূ ভোটাররাও তাদের মতামত দিতে গিয়ে প্রার্থী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকেন। পেছনের দুয়ারে এসে প্রার্থীর হাত থেকে পাওয়া কঁচকচে ৫শ বা হাজার টাকার নোটটাই মন ভড়িয়ে দেয়া। যেন নোটের সংখ্যা বাড়িয়ে দিবে তার গুণের যেন শেষ নাই। নারী ভোটার বরাবরই ফ্যাক্ট। সহজ সরল নারীদের ভোট অনেক ক্ষেত্রে অযোগ্য পাত্রে যায়৷ যদিও সচেতন নারী ও পুরষের সংখ্যাও কম নয়। তবে তারা নানা কারনে গরিষ্ঠ সম্মাননা পায় না। অথচ তারাও ভোটার। ওই অযোগ্য নেতা বা প্রার্থীর হয়ে কাজ করে। টাকা ওয়ালা কিন্তু অযোগ্য প্রার্থীর কর্মী বাহীনি আজকাল বেতন দিয়ে লালন করে, সভাসমাবেশে ভাড়ায় লোক নিয়ে মিডিয়া ডেকে নিজের জনপ্রিয়তার প্রচার করে। ভোটারদের কাছে এটাও প্রার্থীর যোগ্যতার অবস্থান হয়ে যায়। এভাবে ভোটার হয়ে পড়ে একপেশি। ভালো মন্দ বিচারের সুযোগ থাকে না। থাকলেও দেখা যা প্রতিপক্ষ প্রার্থী আর পক্ষের প্রার্থী উভয় একই চরিত্রের। শুধু ভোটার কেনা বেচায় পিছিয়ে যায় কখনো। প্রসঙ্গত প্রশ্ন আসে। এখানে অযোগ্য প্রার্থীর জনপ্রতিনিধি হয়ে ওঠলে এর দায় কার?
নিশ্চয়ই ভোটারের৷ অথচ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির অযোগ্যতার সব কর্মের প্রতিবাদ করার সাহস, সময়, সুযোগ থাকে না ভোটারের। তাই ভোটার সচেতন হলে কখনো অযোগ্য  প্রার্থী জনপ্রতিনিধিদের আসন পেতো না।
 উদার গণতান্ত্রিক দেশে ভোটারগণ গোপন ব্যালট ব্যবহার করেন যাতে তারা রাজনৈতিক গোপনীয়তা বজায় রেখে প্রভাবমুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। ব্যালট উন্মুক্ত থাকলে, অনেক সময় সময় ভোটার সামাজিক চাপ, জ্ঞানের অভাব, বা অধিকাংশ যাকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে মনে করে তার পক্ষে দাঁড়ানোর তাড়না থেকে, কিছু নির্দিষ্ট দলকে ভোট দিতে বাধ্য হয়ে যা।  গোপন ব্যালট ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হলো আরো সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান জনগণ সুরক্ষিত বোধ করবে এবং যাকে সেরা প্রতিনিধি বলে মনে করেন তাকে নিঃসংকোচে ভোট দিতে সক্ষম হবেন।
 এদিকে দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সারা দেশেই  নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার আগেই নির্বাচনী আসনগুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়ে গেছে। থানা ও জেলাগুলো এখন প্রার্থীদের পরোক্ষ প্রচারণায় মুখর। ভোটার তথা জনগণও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা-বিশ্লেষণ করছেন। কোন প্রার্থী কী রকম, বা কে কোন দলের মনোনয়ন পেতে পারেন তা নিয়ে জনগণের মাঝে আলোচনা হচ্ছে। এক কথায়, প্রাক নির্বাচনী কর্মযজ্ঞে মুখর এখন পুরো দেশ। কিন্তু প্রার্থীর যোগ্যতা নিয়ে আলোচনা স্থান পাচ্ছে না। দল নির্ধারণ করে দিচ্ছেন আর ভোটার দলের পছন্দের লোককে ভোট দিতে বাধ্য হচ্ছেন। নিজের পছন্দের মুল্যায়ন হচ্ছে  না।
দেশে নির্বাচন সম্পর্কিত আইন আছে। আইনে প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি ও প্রচার-প্রচারণার বিধিনিষেধ রয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই এরকম প্রচারণা আইনসিদ্ধ কিনা সে বিষয়ে প্রার্থীদের সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। নির্বাচনের আচরণবিধি সম্পর্কে অনেক প্রার্থীই সুস্পষ্ট ধারণা রাখেন না। এতে করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়। কারন তারা  ভোটারদের প্রভাবিত করতে এমন অগ্রিম শো ডাউন করে থাকেন।
নির্বাচন হওয়ার আগে প্রার্থীরা ভোটাদের কাছে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। এটি একটি বৈশ্বিক রীতিও বটে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, নির্বাচিত হওয়ার পর আগের সব প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। সে জন্য মনোনয়পত্রে একজন প্রার্থী আগে কখনো নির্বাচিত হয়ে তার আগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও তা বাস্তবায়নের অগ্রগতিরও একটি ফিরিস্তি দিতে হয়। এসব ফিরিস্তি ধরে জবাব দিহিতা নিশ্চিত করতে ভোটারদের জন্য আলাদা কমিশন নাই। জনতার আদালত মিডিয়া পাড়ায় থাকলেও জনতার পক্ষটা শুধুমাত্র বলয়ের প্রভাবে নিরব থাকে।
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর জনসভায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা নেতা-নেত্রীদের সামনে লোকবল নিয়ে শো-ডাউন করে থাকেন। দলের টিকেট পাওয়ার জন্যই এ শো-ডাউন। আইনে এ বিষয়ে বাধানিষেধ না থাকলেও মনোনয়পত্র জমা দেয়ার সময় লোকজন নিয়ে মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় নিষেধাজ্ঞা আছে। এছাড়া তফসিল ঘোষণার আগে সম্ভাব্য প্রার্থীর পক্ষে যেকোনো ধরনের প্রচারণা আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও আমরা অহরহই এরকম প্রচারণা দেখি। কতিপয় অসচেতন ভোটাররাও প্রার্থীদের এমন ফাঁদে পা দিয়ে নিজের বিবেক বিসর্জন দিয়ে থাকেন। ফলে অপরাধীর দলে ভারী খাতায় নাম লেখিয়ে ভোটারকেও অপরাধী হিসেবে গন্য করা হয়।  তবে সবাই অযোগ্য নয়। প্রার্থী কিংবা ভোটার। শুধুমাত্র যারা অযোগ্য ধর্ম ও দেশের সংবিধানের আলোকে আজকের লেখা তাদের উদ্দেশ্যেই।
তাই ভোটারকে হতে হবে সচেতন, দক্ষ, জ্ঞানী। তাদের বুঝতে হবে কাদের প্রয়োজন দেশ গড়তে। কাদের পাঠাচ্ছি আইন প্রণেতা হিসেবে।  তারা তাদের নিজের স্বজন প্রীতি করবেন না দেশের প্রীতিতে মগ্ন হবেন এমন বুঝশক্তির প্রয়োজন একজন ভোটারের। ভোটের গরিষ্ঠতার বিচার যেমন গণতান্ত্রিক মুল্যায়ণ।  তেমনি  ভোটারদের নিজ স্বার্থ ত্যাগ করে দেশের ও দেশের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষায় কাকে প্রয়োজন তাকে জনমত গড়ে প্রথমে প্রার্থী করিয়ে নির্বাচিত করাই হলো মুল দায়িত্ব। যার দ্বারা সমাজের উন্নতি হয়। যার মাধ্যমে দেশ ও জাতির সত্যিকারের ভালোটা হয়। অতঃপর যোগ্য ভোটার চাই। যোগ্য নাগরিক চাই। যারা যোগ্যতার মান বিচারের নিজেদের পছন্দের যোগ্যকে নেতা বলে মেনে নিবেন। ভোটের মতে আমানতের খেয়ানতের জন্য আল্লার কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে অযোগ্য ভোটারকে।
লেখক: সাংবাদিক
মাহবুব আলম প্রিয়


এই বিভাগের আরও খবর