নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁদপুর টু চট্টগ্রামগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে নতুন চাকরি করতে আসা টিকেট বিক্রেতা শামিমের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে কয়একজন যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, আমরা প্রতিদিন সাগরিকা ট্রেনে শাহারাস্তি যাই, প্রায়সময় টিকেট কিনতে এসে দেখি টিকেট শেষ সিট নেই, পরে বলে স্টেন্ডিং টিকেট আছে তাও আবার দাম নিচ্ছে বেশি। এ ব্যাপারে সরজমিনে দুপুর ২ ঘটিকায় কালিবাড়িরেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায় সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট কিনতে আসা সানজিদা নামক একজন যাত্রী বলেন, আমি চট্টগ্রাম যাব ৪ টি টিকেট কিনতে এসেছি প্রথমে বললো ৪ টা হবে না ২ টা হবে তার পর বলে ৪ টা দেওয়া যাবে একটু বেশি লাগবে। কি করবো নিরুপায় হয়ে ৪ ৮০ টাকার বিনিময়ে ৪ টা টিকেট কিনলাম।শাহাজাদা নামক লাকসামগামী একজন যাত্রী অভিযোগ করে বললেন আমি লাকসাম যাবো টিকেট কিনতে গিয়ে দেখি টিকেট শেষ। অনেক রিকোয়েস্ট করলাম পরে কিছুক্ষণ পর টিকেট বিক্রেতা বললো আছে দেওয়া যাবে ১০০ টাকা লাগবে কি করবো নিরুপায় হয়ে কিনে নিলাম এভাবে যদি আমাদের সাথে এমন করে তাহলে আমরা কি করবো বলেন,কেন টিকেট বেশি দামে কিনলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যেতে যখন হবেই টিকেট বেশি দামে না কিনে উপায় নেই তাই কিনলাম। এভাবে যদি শুধু কালিবাড়ি স্টেশনে সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট বিক্রি হয় চাঁদপুর টু চট্টগ্রাম ১০০ টিকেট। প্রতি টিকিটে যদি ১০ টাকা করে বেশি নেয় সেটিগিয়ে দাঁড়ায় ১০০×১০=১০০০ টাকা প্রতিদিন ১ হাজার টাকা করে মাসে দাড়ায় ৩০ হাজার টাকা ১৫ টাকা করে বেশি নিলে ৪৫ হাজার টাকা। বছরে সেটা গিয়ে দাড়ায় ৫,৪০০০০ পাঁচলাখ ৪০ হাজার টাকা এভাবেই সাধারণ মানুষের কাছথেকে তারা ঠকিয়ে ধনী হচ্ছে তারা। এ ব্যাপারে কেউ খবর না রাখলেও এখনথকে আমরা রাখবো খবর। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে টিকেট বিক্রেতা শামিম জানান,আমি এখানে নতুন এসেছি টিকেট বেশিদামে বিক্রি করছি এমন অভিযোগ সত্য না, তবে আমি প্রত্যেকের কাছথকে ৫ টাকা করে বেশি চেয়ে নেই বলে শিকার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ম্যানেজার রুমি মুটোফোনে বলেন, আগের টিকেট বিক্রেতা আলআমিনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ছিল তাকে আমরা এখান থেকে সরিয়ে নিয়েছি,এখন শামিম এখানে নতুন এসেছে তার বিরুদ্ধেও যদি এ ধরনের অভিযোগ উঠে আপনারা (সাংবাদিকের)কাছে প্রমান চেয়ে বলেন আপনাদের কাছে কোন প্রমান থাকলে দিন আমরা তাকেও এখানথেকে সরিয়ে দিবো।