শিরোনাম:
বিদ্যালয়ে পিয়ন থাকলেও শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে মাঠ পরিস্কার করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক ফরিদগঞ্জে ইংলিশ ডোরের উদ্বোধন ফরিদগঞ্জে ফারিসা’র নয়া কমিটি সভাপতি মোতাহার হোসেন, সম্পাদক মহেশ শর্মা চাঁদপুরে এসএ টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন চাঁদপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অসহায় শীতার্ত মানুষদের শীতবস্ত্র উপহার দিল চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স মতলব উত্তরে সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামী গ্রেফতার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বিক্রি বাড়াতে খুশি ক্ষূদ্র উদ্যোক্তারা রূপগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্রের অভিষেক ও পরিচিতি সভা

মানবিক সাংবাদিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মীর আব্দুল আলীম

reporter / ৩১৪ ভিউ
আপডেট : মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩

মাহবুব আলম প্রিয়ঃ
প্রাচ্যেরড্যান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জের শিল্পনগরী রূপগঞ্জ।  অঞ্চলটি যেমন সমৃদ্ধ শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর পাড়ের উর্বর ভূমিতে। তেমনি সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক রূপ সৌন্দর্য্যে।
যেখানে হাতছানি দেয় সম্ভাবনা।  যার নজর ছিলো ব্রিটিশ শাসনামলে। রাজধানী লগোয়া রূপগঞ্জের নানাভাবে গুরুত্ব থাকায় এখানে দুটি নদী ছাড়াও ঢাকা- চট্টগ্রাম,  ঢাকা- সিলেট, এশিয়ান হাইওয়ে বা ঢাকা বাইপাস সবশেষে এশিয়া মহাদেশের অন্যতম স্যাটেলাইট শহর পূর্বাচল প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে।  এখানকার ৩শ ফুট সড়ক দেশের অন্যতম একটি মেগা প্রকল্প।  শুধু যে অবস্থানে সমৃদ্ধ তা নয়। এ অঞ্চলের সাংবাদিকতা, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, শিক্ষকতা পেশা, শিল্পগড়া, চাষাবাদ, মুক্তিযুদ্ধে শক্তিশালী ভূমির রাখা,বইপ্রেমী,সাহিত্য প্রেমী,গুণি লেখক,আইনজীবী নানা শ্রেণী পেশার মানুষদের জন্ম হয়েছে। যারা জাতীয় পর্যায় তাদের অবদানের জন্য রূপগঞ্জকে করেছেন ধন্য।  স্বাধীনতা পূর্ববর্তী এ অঞ্চলের  বহু গুণিজন ছিলেন। তবে স্বাধীনতা পরবর্তী রূপগঞ্জ অঞ্চলকে আলেচনায় নিয়ে এসেছিলেন মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ ( বীর উত্তম)।  তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন সেক্টর কমান্ডার ফোরামের একাধিকবার সভাপতি।  স্বাধীনতা পরবর্তী তিনি ছিলেন সেনা প্রধানসহ তিন বাহীনির প্রধান। পরবর্তীতে রূপগঞ্জের রাজনীতিতে জড়িয়ে আওয়ামীলীগের পক্ষে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে এমপিও হয়েছিলেন তিনি। রূপগঞ্জের রত্ব পুরুষদের মাঝে তিনি অন্যতম।  উল্লেখ্য যোগ্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও যাদের অবদান তাদের মাঝে  রূপগঞ্জ থেকে বিএনপির পক্ষে নির্বাচন করে এমপি হয়ে তার ডাক টেলিযোগাযোগ, বস্ত্রসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মরহুম আব্দুল মতিন চৌধুরী।  তিনি রূপগঞ্জকে ফের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন সারাদেশ ব্যাপি। সবশেষ রূপগঞ্জের রত্ন পুরুষদের অন্যতম গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বর্তমান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতিক এমপি এ অঞ্চলের হাল ধরে আছেন। তিনি এশিয়া মহাদেশের অন্যতম ব্যবসায়ী ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধকালীন অনস্বীকার্য ভূমিকা রাখায় বীর প্রতিক খেতাব প্রাপ্ত। রাজনৈতিকভাবে স্থানীয় উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এছাড়াও উল্লেখ যোগ্য বহু গুণীজনের নাম এখানে বলা যায় আনায়াসে। যারা রূপগঞ্জকে ধন্য করেছেন। তাদের  মাঝে বই প্রেম, বইকে সহজলভ্য করা, মানবিকতাকে ছড়িয়ে দিতে সড়কের পাশে ব্যক্তিগত খরচে শতাধিক যাত্রী ছাউনি করে দেয়াসহ নানাভাবে সমাজকর্ম করে সাদামনের মানুষ উপাধি পান লায়ন মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া। তার গড়া দেশের বৃহত্তর গ্রন্থাগার মারুফ শারমীন স্মৃতি পাঠাগার। এছাড়াও দেশের বেশক’টি কারাগার ও গুরুত্বপূর্ণস্থানে শতাধিক গ্রন্থাগার করে দিয়েছেন।  এসব নানা মানবিক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে মেলে সরকারী গ্যাজেটভুক্ত সমাজসেবক খ্যাতি।
রূপগঞ্জ অঞ্চলের শিল্প সমৃদ্ধি আর ভৌগোলিক গুরুত্বকে জাতির সামনে তুলে ধরতে যাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি প্রশংসনীয় তারা হলেন এ অঞ্চলের সাংবাদিক। এ অঞ্চলে বর্তমানে ৭০ জনের অধিক সংবাদকর্মী হিসেবে কর্মরত। স্বাধীনতা পরবর্তী এখানকার মুড়াপাড়ায় গড়ে ওঠে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব নামে একটি শক্তিশালী সাংবাদিকদের সংগঠন৷ গত ৫০ বছরে এ ক্লাবটির রয়েছে ব্যাপক সুনাম ও খ্যাতি। শুধুমাত্র গত ২০ বছরে এ ক্লাবের সাংবাদিকদের নানাভাবে সমাজকর্মে জড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা দেশব্যাপি ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
দায়িত্ববোধ, সামাজিক মুল্যবোধের স্থানে আপোষহীন লেখনীতে একপা পিছপা হননি এখানকার কোন লেখক বা সাংবাদিক। একটি মাত্র সংগঠনে সব সাংবাদিকরা একহয়ে একাট্টা থেকে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছিলেন। এসবের নেতৃত্বে রয়েছেন রূপগঞ্জের  রূপসীর বাসিন্দা মরহুম  বীর মুক্তিযোদ্ধা তাইজদ্দিনের একমাত্র পূত্র কলামিস্ট লায়ন মীর আব্দুল আলীম। রূপগঞ্জের যে ক’জন বিশিষ্টজনের নাম উচ্চারণ হয় তাদের মাঝে মীর আব্দুল আলীম অন্যতম। তিনি একজন শিল্পপতিও। চিন্তা চেতনায় তাঁর রূপগঞ্জের সাংবাদিকতার পাশাপাশি সারাদেশের সাংবাদিক সমাজের মর্যাদা অক্ষূন্ন রাখার লেখনী যুদ্ধা তিনি। রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে হাল ধরা ছাড়াও তিনি দেশের একজন খ্যাতনামা কলাম লেখক। তার লেখা দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলো ছাড়াও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রকাশ হয়। দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে সবার আগে কলম ধরেন তিনি। লেখায় থাকে স্পষ্টতা আর বস্তুনিষ্ঠতা।  থাকে দেশ প্রেম আর অন্যায়ের প্রতিবাদ। এহেন নানাগুণের কারনে পাঠক হৃদয়ে মীর আব্দুল আলীম একজন সফল কলম সৈনিক।  কলাম লেখার পাশাপাশি বই লিখায় রয়েছে পাকা হাত৷  ইতোমধ্যে তার লেখা প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০টির অধিক। যার মাঝে ‘দেশ, নির্বাচিত কলাম .দেশ, বাংলাদেশ, সুখের ফেরিওয়ালা, মুখোশ, সময়, ‘নিষিদ্ধ অথবা নিষিদ্ধ নয়’ ‘আমি স্বপ্ন দেখি রোজ’ ইত্যাদি অন্যতম।
মীর আব্দুল আলীম সাংবাদিকতাকে শুধুমাত্র  লেখনীর গন্ডিতে রাখতে পছন্দ করেন না। তিনি সমাজকর্মের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে নিজে কাজ করেন আর সহকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেন।  ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থা লায়ন্স ক্লাবসহ স্থানীয়  স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে মানবসেবা করে আসছেন। আর দেশের স্থাস্থ্য সেবাকে কাঙ্খিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।  মুমূর্ষুকে রক্তদান করাতে একদল তরুণদের নিয়ে কাজ করছেন।
সূত্রমতে, মীর আব্দুল আলীম ছাত্র জীবন থেকে লিখছেন। সাংবাদিকতায় তিন যুগ পার করা এই লেখক একে একে সাহিত্যের সব শাখাতেই প্রতিভার নিদর্শন রেখে যাচ্ছেন। নিরেট সত্য-সন্ধানী একজন মানুষ তিনি। প্রায় প্রতিদিন প্রথম শ্রেণির কোনো না কোনো জাতীয় দৈনিকে কোনোপ্রকার পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কলাম, কবিতা, গান লিখে যাচ্ছেন । রাষ্ট্র ও সমাজের সংকট নিয়ে ভাবেন; সংকট উত্তরণের পথ খুঁজেন। একজন সচেতন ব্যক্তি হিসেবে দেশের চলমান ঘটনা প্রবাহের প্রতি নিবিড় দৃষ্টি রাখেন। কাজের মাঝেই নিজেকে খুঁজে ফেরেন। শত ব্যস্ততা ও পরিশ্রমেও ক্লান্তির বহিঃপ্রকাশ নেই। সব কিছুতেই যেনো তৃপ্ত তিনি। সুখেও হাসেন, দুখেও হাসতে পারেন। পরোয়া করেন না রক্তচক্ষু, নেই মৃত্যুভয়ও। স্বাধীনচেতা এবং প্রচণ্ড সাহসী আশাবাদী এবং পজিটিভ মানুষ, তিনি মানবকল্যাণে তৃপ্তি পান বেশি। চারপাশের অন্ধকার শব্দচয়ন আর অক্ষরের আলোয় ঢেকে দিতে চান। সাংবাদিক হিসেবে তার দূরদর্শিতা বিচক্ষণতা ও উদার মন-মানসিকতার প্রমাণ তিনি বারবার দিয়েছেন। নতুনধারার আজকের কাগজ, দৈনিক জনকন্ঠসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ৩৬ বছর সরাসরি সাংবাদিকতা করেছেন। দৈনিক ইত্তেফাক, ইনকিলাব, জনকণ্ঠ, যুগান্তর, বাংলাদেশ প্রতিদিন, সংবাদ, ভোরের কাগজ, সমকাল, ডেইলি নিউ নেশন, ডেইলি অবজারভার, দি হান্টসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে তাঁর প্রবন্ধ-নিবন্ধ উপ-সম্পাদকীয় গুরুত্বের সাথে ছাপা হয়েছে এবং হচ্ছে। আমেরিকার ঠিকানাসহ দেশের বাইরের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতেও তাঁর লেখা গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হয়। তিনি সমাজ বিষয়ে দিনরাত কাজ করেন। সে অভিজ্ঞতার আলোকে নিয়মিত লিখছেন। একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ৩০ বছর আগে ১৯৯২ সালে প্রবন্ধ ফিচার এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে অবদানের জন্য পুরস্কার লাভ করেন। সেটিই ছিলো সাংবাদিকতায় প্রথম পুরস্কার। নিজ জেলার সামসুদ্দোহা পুরস্কারটি বেশ সাদরেই গ্রহণ করেন। এরপর বহু সম্মাননা পদক এবং পেয়েছেন স্বর্ণপদকও।মানবিক হিসেবেও রয়েছে তার খ্যাতি। অন্ধদের চক্ষুদান, বিনামুল্যে ছানি অপারেশন, জন্মগত বা দূর্ঘটনা জনিত পা হারানোদের কৃত্রিম পা স্থাপন করে দেয়ার মতো মানবিক কাজে যুক্ত থাকার রয়েছে উদাহরণ।
তাঁর বিষয়ে কবি প্রদীপ মিত্রসহ বহুগুণীজন প্রবন্ধ লিখেছেন। কবি লিখেছেন, মীর আব্দুল আলীম একজন রত্ন পুরুষ।   আন্তর্জাতিক পদকও জুটেছে তার স্বল্পজীবনে। ভারতের শাস্তি নিকেতন ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন তাকে বাংলাদেশের গুণী কলাম লেখক হিসেবে সম্মাননা পদক প্রদান করেছে। কুরিয়া ট্রেড সেন্টারের আমন্ত্রণে কুয়াসহ ৩৭টি দেশ ঘুরেছেন জ্ঞানার্জনের জন্য। দেশের বাইরে সাহিত্য দাসরে অতিথি, প্রধান অতিথি হয়ে গেছেন বহুবার। লায়ন্স ক্লাবের সাথে যুক্ত আছেন ২৬ বছর ধরে।
 আমি একজন সংবাদ কর্মী হিসেবে গত ২০ বছর ধরে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। তিনি আপাদমস্তক মানবিক মানুষ। গত কোভিড ১৯ কালীন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বশরীরে। পতিত জমি ও সড়কের পাশে অসংখ্য গাছ লাগিয়েছেন। যেখানেই ঘুরতে বা বেড়াতে যান সঙ্গে গাছ নিয়ে যাওয়ায় ‘গ্রীণম্যান’ বলে ডাকেন কেউ কেউ।  শুধু তাই নয়, বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠানেও গাছ নিয়ে হাজির হন তিনি।  এসব গুণের কারণে ২০২১ সালে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট পদক লাভ করেন। পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ কলামিস্টের পদকও। ভারতের হুগলীতে এবং আগরতলায় পৃথক অনুষ্ঠানে তাকে সম্মাননা পদক প্রদান করে সেখানকার কবি সাহিত্যিক পরিষদ। তিনি একজন গীতিকার এবং নাট্যকারও। সচেতনতামূলক এবং মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক, গান রচনা করে সুনাম কুড়িয়েছেন। মীর আব্দুল আলীম “বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম’ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ভিক্টোরির প্রেসিডেন্ট, লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ৩১৫/২-১ এর জোন চেয়ারপারসন, আল-রাফি হাসপাতাল লিমিটেডে-এর চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক পদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত আছেন। ১৯৭০ সালের ০২ জুলাই নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলীম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
কথায় আছে, পাকা ফলে ঢিল ছুঁড়ে ফেলে দেয়। আর তিঁতা ফল গাছে রয়। তেমনি এ মানুষটি সমাজভাবনায় যেমন অপরাধীদের বিরুদ্ধে সমানতালে কলম ধরেছেন তেমনি সংশ্লিষ্ট অপরাধী গোষ্ঠীর রক্তচক্ষুর শিকার হয়েছেন বারবার। তাকে নানাভাবে লেখনী থামাতে  ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এখনো অব্যাহত আছে। তার পরিচালিত পেশাদার সাংবাদিকদের নিয়ে করা রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের ঐক্য নষ্টের জন্য নানা ফন্দিজাল ভেদ করতে হচ্ছে সুকৌশলে।  তবুও সাংবাদিকতার জয় জয়কার হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি। সারাদেশের যেকোন স্থানে সাংবাদিক নির্যাতনের খবর পেলে সবার আগে প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠাও মীর আব্দুল আলীমের অন্যন্য নেতৃত্বগুণ। ফলে তাঁর রয়েছে  জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক ও দেশের খ্যাতনামা লেখকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক। ভারতীয় লেখক সমাজের বিচরন তার প্রশংসনীয়।
পরিশেষে, মহান এ মানুষটির সাফল্য কামনা করছি। তাঁর সুন্দর চিন্তার বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিক সমাজ উপকৃত হবে দেশ পাবে সত্যিকারের গণমাধ্যম সেবা।
মাহবুব আলম প্রিয়
লেখক: সাংবাদিক
ই মেইল: newspriyorupganj@gmail.com


এই বিভাগের আরও খবর