তীব্র শব্দ দূষণে দর্শনার্থীদের ভোগান্তি—–
মাহবুব আলম প্রিয়ঃ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৯তম আসরে তীব্র শব্দ দূষণে অতিষ্ট ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। স্টলে স্টলে বিকট শব্দে গান বাজনায় তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করেই মেলায় ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। ভোগান্তিতে পড়েছেন মেলায় আসা শিশু ও বৃদ্ধরা।
মেলায় ১৯ তম দিন রবিবার সকাল থেকে দর্শনার্থীদের পদচারণায় জমে ওঠেছে মেলা।প্রাঙ্গনে। পন্যমূল্যে ছাড় দিয়ে ক্রেতা টানার চেষ্টা যেন সফল। তবে স্টলে স্টলে উচ্চ শব্দে বক্সে গান বাজানো, হকারদের হাঁকডাকে বিব্রত প্রকাশ করেছেন অনেকে।
রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আইভি ফেরদৌস শোভা বলেন, উচ্চ শব্দের কারনে মাথা ব্যাথা, হার্টের রোগীদের জীবননাশের ঝুঁকি থাকে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় থাকবে শিশুরা। তাদের শ্রবণ শক্তি হ্রাস,নিদ্রা কমে যাওয়াসহ ভয় পেয়ে তার শরীরের বৃদ্ধি থেমে যাবে। তবে মেলায় শব্দের মাত্রা ৮০ ডেসিমলের নিচে রাখার নির্দেশনা রয়েছে। এরপরও কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে মেলা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করবো। যাতে সাধারণের জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়।
মুড়াপাড়ার বাসিন্দা প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার জাকির হোসেন বলেন, রূপগঞ্জে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন আমাদের ধন্য করেছে। খুব ভালো লাগে যে বাণিজ্য মেলার মাধ্যমে সারাদেশে রূপগঞ্জের নতুন পরিচিতি পাচ্ছে। তাই এ মেলার সফল আয়োজন হলে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সহায়ক যেমন হবে তেমনি উদ্যোক্তারা লাভবান হবে। দেখলাম পূর্বাচলের স্থায়ী প্যাভিলিয়নের ৪র্থ আসরটি বিগত সময়ের চেয়ে এ বছর বেশ জমজমাট।হচ্ছে।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, মেলার বাহিরে হকাররা ছোট ছোট হেন্ড মাইকে তাদের ডেকে ডেকে পন্য বিক্রি করছে। আবার বিআরটিসি বাসের জন্যে যাত্রীদের দিক নির্দেশনা দিতেও চলছে উচ্চ শব্দ মাইক বাজানোর কাজ। একটু সামনে বাড়তেই প্রবেশ টিকেট পেতে কিংবা শৃঙ্খলা ফেরানোর অযুহাতে দেখা গেছে উচ্চ শব্দে বক্স বাজাতে। ভেতরে প্রবেশ করলে দেখা মেলে উন্মুক্ত মঞ্চ। যেখানে হৈ চৈ করে চলে শুক্র ও শনিবার বিকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত গান বাজনা। মূল ভবনে প্রবেশ করতেই দেখা যায় স্টলে স্টলে বাজছে যার যার পন্যের প্রচারণা। আর খাবার হোটেল থেকে কর্মচারীদের হাঁকডাক মাইকে আরো বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরী করেছে।
মেলায় দায়িত্বরত ইটিকেটিং ও প্রবেশদ্বার পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, মেলায় শুক্রবার আর শনিবার প্রচুর দর্শনার্থীদের সমাগম হয় তাই তাদের সামলাতে মাইকের ব্যবহার করতে হয়। এতে উচ্চ শব্দ না হলে শুনবে কেমনে?
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মেলায় দায়িত্বরত ইপিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, উচ্চ শব্দের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি। তাই শুরুতে এমনকি স্টল বরাদ্দের সময় এসব বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারপরও কেউ উচ্চ শব্দ ব্যবহার করলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।