তাওহিদ পাটোয়ারী মনিরঃ
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে এক ধরণের চাপা কান্না চলছে। শহর কিংবা গ্রাম- সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে জীবন চালাতে। এই অগ্নিমূল্যের বাজারে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের অবস্থা বড্ড নাজুক।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে ভালো নেই ইমাম-মুয়াজ্জিনরা। অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। ইমাম-মুয়াজ্জিনদের এ অভাবের চিত্র শহরের তুলনায় গ্রামে আরও প্রকট।
গ্রামাঞ্চলের ইমাম-মুয়াজ্জিন বলছেন, পরিবার নিয়ে বেশিরভাগ দিনই সবজি বা ডাল দিয়ে খেয়ে কোনমতে জীবনযাপন করছেন তারা। চড়ামূল্যের কারণে সবজিও কেনা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়ছে ধার-দেনার চাপও। মা বাবার ভরন পোষন, ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা সংসার খরচ চালানো খুবই কষ্টসাধ্য।
জানা গেছে, দ্রব্যমূল্যের কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন-ভাতা বাড়েনি। বিভিন্ন পেশার কর্মজীবীদের বেতন বাড়লে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মাসিক সম্মানী ভাতা একই থেকে যায় যুগ যুগ ধরে।
ইমাম মুয়াজ্জিনের পেশায় নেই ছুটি। নেই ঝড়-বৃষ্টি কিংবা কনকনে শীতের অজুহাত। সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনকারী দুই পেশাজীবী হলেন এই ইমাম আর মুয়াজ্জিন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের শহরাঞ্চলে মসজিদগুলোর ইমামদের বেতন ৭ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে। আর মুয়াজ্জিনদের বেতন ৪ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর গ্রাম্য এলাকার মসজিদগুলোর ইমামদের বেতন ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা এবং মুয়াজ্জিনদের বেতন ২ থেকে ৪ হাজার টাকা।
গ্রামে অনেক সময় দেখা যায় ইমাম এবং মুয়াজ্জিনের কাজ একই ব্যক্তি করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও ইউনিয়নের পাটন ১ নং কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হযরত মাওলানা ক্বারী মুহাম্মদ নেছার উদ্দীন ছালেহী( চাঁদপুর) বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে ইমাম মুয়াজ্জিনরা অনেক কষ্টে আছে। দিন দিন যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে, ইমাম মুয়াজ্জিনদের বেতন বা সম্মানী না বাড়লে কিভাবে জীবনযাপন করবে, মা বাবা ভাই বোন ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালানো খুবই কষ্টসাধ্য ।