—– ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জাটকা এবং মা ইলিশের পাশে, আমরা আছি প্রতিটি নিঃশ্বাসে” এ শ্লোগানকে হৃদয়ে ধারন করে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের এ বছর ১৫ তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের ষষ্ঠদিন বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে অতিবাহিত হয়েছে।
গতকাল (২০ সেপ্টেম্বর) বুধবার সন্ধ্যায় আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযুদ্ধা ও স্বস্হ্য অধিদপ্তরের (অব) সাবেক মহা পরিচালক ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী।
তিনি বলেন,” চাঁদপুর ভরপুর জলে আর স্হলে, মাটির মানুষ আর সোনা ফলে”জাতীর পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে আমরা যে করেই হোক ইলিশ সম্পদের পূর্বের রূপ ফিরিয়ে আনবো।চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন ১৫ তম ইলিশ উৎসবের আয়োজন করে আসছে। এ সংগঠনের কাণ্ডারী হারুন আল রশিদের সহধর্মীনি তাহমিনা হারুনের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। সচেতনতা যদি আসে তাহলে যেমনি রোগ বালাই থেকে ঔষধের মাধ্যমে মুক্তি পাওয়া যায়। আর সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে ইলিশ সম্পদ রক্ষা করতে যাবে। আমরা যদি অভিযাস চলাকালে আড়াই মাস ইলিশ মাছ কিনবো না, বাসায় আনলে আসরা গৃহিনীরা রান্না করবো না। সচেতনতার মাধ্যমে নারীরা যদি এর প্রতিবাদ করে তাহলে ও ইলিশ সম্পদ রক্ষা করতে পারবে সবাই।” ইলিশ সম্পদের নিয়ম কানুন মানবো, ইলিশ আমাদের ঘরে আনবো ”
বক্তারা বলেন, আগে দেখা যেত ৪০/৫০ টি ট্রলার যোগে চাঁদপুর মাছ ঘাটে ইলিশ আসতো। এখন আর সে রকম দৃশ্য চোখে দেখা যায় না। নদী দূষনের কারণে চাঁদপুরের নদী থেকে ইলিশ হারিয়ে যাচ্ছে। সাবেক জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মণ্ডলের প্রচেষ্টায় ইলিশের জন্য চাঁদপুর কে ব্রেন্ডিং করা হয়েছিল। চাঁদপুরের নদীর গভীরতা ইলিশের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। চাঁদপুর কে বরা হতো ইলিশের মায়ের বাড়ি, কিন্তু সেই চাঁদপুরের নদীতে ইলিশ নেই। আমরা চাই নাব্যতা সৃষ্টি করে ইলিশের পূর্বের রূপ ফিরিয়ে আনতে মৎস্য বিভাগ কাজ করবে। জেলেদের কখনো রক্ষা করা যাবেনা। তারা জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার সময় নদীতে নামবে।তখন যদি তাদের নৌকা গুলো ডাকাতিয়া নদীতে রেখে তার পর তাতের প্রনোদনা দিলে মা ইলিশ রক্ষা করা সম্ভব হবে। টিলাবাড়ি, আনন্দ বাজার, সফরমালি, চরভৈরবী এসব এলাকার জেরেদের রোধ করা না গেলে ইলিশ সম্পদ রক্ষা কর সম্ভব হবে না।যারা জেলেদের নেতা দাবী করে অভিযানের সময় এসব নেতাদের দূরে রাখলে মা ইলিশ রক্ষা করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশে প্রচলিত আছে সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের কারণে আমাদের ইলিশের চাহিদা পূরন করা যাচ্ছেনা। আমাদের চাহিদা পূরনে কাজ করতে হবে। ইলিশের চাহিদা থাকায় সিন্ডিকেট চক্র ফায়দা লুটতে চায়।
আলোচকের বক্তব্য রাখেন, এনএসআই চাঁদপুরের উপ পরিচালক শাহ আরমান, ইলিশ উৎসবের আহ্বায়ক কাজী শাহাদাত, সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ বিণয় ভূষণ মজুমদার,সংস্কৃতিকসেবী পরেশ মালাকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী। আরো বক্তব্য রাখেন রোটাঃ ডাঃ মাসুদ হাসান। ইলিশ উৎসবের রূপকার হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় সভাপ্রধান ছিলেন ডাঃ পীযুষ কান্তি বড়ুয়া।
তাছাড়া বিকালে আমরা আলোকিত নারী সংগঠনের সদস্যরা ইলিশ রেসিপি তৈরি করে প্রদর্শন করে। তারা ইলিশ মাছ দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করে তা প্রদর্শন করে। রেসিপিতে অংশ গ্রহন করে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলা রহমান, মুসরাত মুন্নি, জয়েন্ট সেক্রেটরী, আমেনা বারী,ট্রেজারার ইসরাত জাহান বর্ষা,ইউটর তানজিলাল জুম্সি, সোস্যাল মডারেটর সাবিহা রহমান,নিশি, সদস্য সাদিয়া নাসির, ইসরাত জাহান লিটা। বিকাল থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগিত পরিবেশন করে তম্ময় রক্ষীত, কাজী কাবিশা,ফয়সাল রশিদ শাওন, প্লাবন ভট্টাচার্য, হারুন আল রশিদ, এমএইচ বাতেন, স্বজল, মুন্না ঘোষ, মৃণাল সরকার, জয়ন্তী পার। নারায়নগঞ্জ হাওয়াইয়ান গিটার পরিষদের অনুষ্ঠান। ঢাকা রিপন ডান্স টিমের নৃত্যানুষ্ঠান।
আমরা আলোকিত নারী সংগঠনের আয়োজনে ইলিশ উৎসবের কেক তৈরি করে আনা হয়।কেকটি গোল টেবিল বৈঠকে অতিথিগণ তা কাটেন।