নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি সাব্বির-২ এর ধাক্কায় পল্টুন ভেঙ্গে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১ টায়।
জানাযায়, ঢাকা সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ঘোষেরহাট যাওয়ার পথে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রা বিরতি করতে আসলে রাত সোয়া ১ টার দিকে ২ নং জেটির পল্টুনে স্বজোরে ধাক্কা দিলে পল্টুন ভেঙ্গে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। তাৎক্ষনিক চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে সাব্বির লঞ্চের ৩ জন স্টাফকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে । বিআইডব্লিউটিএর নৌ বন্দরের পরিবহ পরিদর্শক (টিআই) শাহআলম নৌ থানা থেকে আটক কৃতদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। তারপর মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে চাঁদপুর ঘাট থেকে সাব্বির লঞ্চটি ছাড়িয়ে দেয় বলে ঘাটের বিভিন্ন লঞ্চের স্টাফ ও সুপার ভাইজারগন জানায়। টিআই শাহআলম পরিবহন পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন কালে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী থাকলে ও কম যাত্রী লিখে স্বক্ষর করে অর্থের বিনিময়ে চাঁদপুর ঘাট থেকে লঝ্চ ছাড়িয়ে দেন বলে বহু অভিযোগ উঠেছে। লঞ্চে মুল মাস্টার না থাকলে ও তিনি পারমিটে স্বাক্ষর করে দ্বিতীয় শ্রেণীর মাস্টার দিয়ে লঞ্চ চালানোর অনুমতি দিয়ে থাকেন বলে ও অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে।
চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মুজাহিদুল ইসলাম জানান, আমরা সাব্বির লঞ্চের ৩ জন কে দুর্ঘটনার পর আটক করি। টিআই শাহআলম তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।তবে এব্যাপারে বন্দর কতৃপক্ষ আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দায়ের করলে আমরা আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায় বন্দর কর্মকর্তা কাউসারুল ইসলাম, সিপি এস মাহমুদুল হাসান থানদার সাব্বির লঞ্চের স্টাফদের নিয়ে সমঝোতার বৈঠক করে। তাতে সাব্বির লঞ্চের কতৃপক্ষ পল্টুন মেরামত করে দিবেন বলে জানান।বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন আমরা লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ও স্টাফের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে বন্দর ও পরিবহন পরিদর্শক সাহআলমের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান ঘটনার সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি ।তাহাদেরকে বিস্তারিত বিষয়টি জানিয়েছি কর্তৃপক্ষের অনুভূতিতে স্টাফদের নাম ঠিকানা রেখে যাবার অনুমতি দিয়েছি।তবে লন্চে থাকা যাএীদের কথা বিবেচনা করে অনুমতি নিয়েছেন।