শিরোনাম:
বিদ্যালয়ে পিয়ন থাকলেও শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে মাঠ পরিস্কার করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক ফরিদগঞ্জে ইংলিশ ডোরের উদ্বোধন ফরিদগঞ্জে ফারিসা’র নয়া কমিটি সভাপতি মোতাহার হোসেন, সম্পাদক মহেশ শর্মা চাঁদপুরে এসএ টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন চাঁদপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অসহায় শীতার্ত মানুষদের শীতবস্ত্র উপহার দিল চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স মতলব উত্তরে সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামী গ্রেফতার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বিক্রি বাড়াতে খুশি ক্ষূদ্র উদ্যোক্তারা রূপগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্রের অভিষেক ও পরিচিতি সভা

বিদ্যালয়ে পিয়ন থাকলেও শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে মাঠ পরিস্কার করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

reporter / ২৪ ভিউ
আপডেট : রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫

এফ.এ.মানিকঃ শ্রেণি শিক্ষা চলকালিন সময়ে শিশুরা হয় শিক্ষকদের কথা শুনবেন, না হলে খেলাধূলায় মাতোয়ারা থাকবেন। কিন্তু তা না করে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ ঝাঁড়ু দিচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কড়ৈতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। রোববার (১৯ জানুয়ারি ২০২৫) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিদ্যালয়টিতে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা গেছে। যদিও এই বিষয়ে জানতে চাইলে নির্দেশদাতা প্রধান শিক্ষক কোন সদোত্তর দেননি। এ পরিস্থিতি দেখে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মানুষদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির মাঠে উড়ছে ধূলাবালি, শিক্ষার্থীদের হাতে নেই হ্যান্ড গ্লাভস, মুখে নেই মাস্ক। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনা মোতাবেক কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মাঠ ঝাড়ু দিচ্ছে। শ্রেণি শিক্ষা রেখে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ তারা এই কাজ করছে। বিদ্যালয়টিতে রয়েছে অফিস পিয়নও।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইয়াকুব মিয়া, নুরুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সবে মাত্র বছর শুরু হয়েছে। এখনো বইয়ের থেকে নতুন ঘ্রাণ যায়নি। কিন্তু এ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাণ্ডজ্ঞানহীনের মতো ধূলাবালিতে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা না ভেবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে মাঠ ঝাড়ু দেয়াচ্ছে, যা অনুচিত।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, বিগত সরকারের আমলেও বিদ্যালয়ের এই প্রধান শিক্ষক স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যদিয়ে বিদ্যালয়টি চালিয়েছেন। এখনো তার স্বেচ্ছাচারিতা যায়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, পরিচ্ছনতা কার্যক্রম সরকারি নির্দেশনা আছে। ক্লাস চলাকালিন সময়ে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে মাঠ পরিস্কারের বিষয়ে তাকে কোন প্রকারের অনুশোচনা করতে দেখা যায়নি বা সদোত্তর দেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মুজাম্মেল হোসেন বলেন, শিশুরা ধূলাবালি গ্রহণের কারণে এলার্জি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন প্রকারের রোগ ব্যাধির আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিরিন সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্কুল মাঠ পরিস্কারের আমাদের কোন অনুমতি নেই। এ বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


এই বিভাগের আরও খবর