আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত
আরিফুল ইসলাম শান্তঃ
গতকাল ১৭ অক্টোবর সোমবার চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা সদরে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ভোট দেবেন স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা ভোট প্রদান করেন
নির্বাচনে ৮৯টি ইউনিয়ন ও ৬টি পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে পুরুষ ৯৭০ জন ও নারী ২৯৯ জন। জেলার ৮ কেন্দ্রের মোট ১৬ টি বুথে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটাররা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। পৌরসভার মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্যরা নির্দলীয় এ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট প্রদান করেন।
চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর ছিলাম। কঠোর মনিটরিং এর মাধ্যমে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালনে সকল কর্মকর্তারা সকল প্রকার প্রভাব উপেক্ষা করে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জেলা নির্বাচন কমিশনার ও সহকারী রিটার্নি কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন জানান
৮জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩২ জন পোলিং অফিসার এই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন। কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং র্ফোস ,বিজিবি ও র্যাব, মোবাইল টিম (১প্লাটুন র্যাব ও বিজিবি-( প্রত্যেকটি টিমে ২০ জন করে দায়িত্ব পালন করবে) এবং একাধিক স্ট্রাইকিং র্ফোস, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত ছিলেন।
চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, সাধারন সদস্য পদে ৩৬ ও সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে ১২ জনসহ সর্বমোট ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এই নির্বাচনে মোবাইল প্রতিকে ৭’ শ ২৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চাঁদপুর জেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাকির হোসেন প্রধানীয়া (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৫’ শ ২২ ভোট।
চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলার ৮কেন্দ্রে এবারই সর্ব প্রথম ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
ভোট গ্রহণের শুরু থেকেই নির্বাচন কর্তৃপক্ষসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত অবস্থানের কারণে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোট গ্রহণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোট কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিলো।
জানা যায়, সর্বমোট ১ হাজার ২শ’ ৫০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বাকি ১৯ জন অসুস্থতা সহ বিভিন্ন কারনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।
১ নং ওয়ার্ড সদর আসনে মোবাইল প্রতিক পেয়েছে ১৬৩ ভোট, প্রতিদ্বন্ধী আনারস প্রতিক পেয়েছে ৪০ ভোট, হাইমচর ২ নং ওয়ার্ডে মোবাইল পেয়েছে ৬৬ ভোট, আনারস ১৪
ভোট, ফরিদগঞ্জ ৩ নং ওয়ার্ডে মোবাইল পেয়েছে ১১৪ ভোট, আনারস ৯৭ ভোট, মতলব দক্ষিণ ৪ নং ওয়ার্ডে মোবাইল পেয়েছে ৫৮ ভোট, আনারস ৩২ ভোট, মতলব উত্তর ৫ নং ওয়ার্ডে মোবাইল পেয়েছে ১০০ ভোট, আনারস ৮০ ভোট, হাজীগঞ্জ ৬ নং ওয়ার্ড মোবাইল পেয়েছে ৭১ ভোট, আনারস ১০৩ ভোট, কচুয়া ৭ নং ওয়ার্ড মোবাইল পেয়েছে ৯৯ ভোট, আনারস ৭১ ভোট, শাহরাস্তি ৮ নং ওয়ার্ডে মোবাইল পেয়েছে ৮৮ ভোট এবং আনারস ৬৪ ভোট পেয়েছেন।
সব মিলিয়ে চাঁদপুর জেলা নির্বাচনে ৯৮% ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে যারা বিজয়ী হয়েছেন,
১ নং ওয়ার্ডঃ চাঁদপুর সদরে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিক,
২ নং ওয়ার্ডঃ হাইমচর সাংবাদিক খুরশিদ আলম, ৩নং ওয়ার্ডঃ ফরিদগঞ্জে আলী আক্কাছ
৪নং ওয়ার্ডঃ মতলব দক্ষিণে আল আমিন ফরাজী, ৫ নং ওয়ার্ডঃ মতলব উত্তরে আলাউদ্দিন সরকার, ৬ নং ওয়ার্ডঃ কচুয়ায় তৌহিদুল ইসলাম খোকা, ৭ নং ওয়ার্ডঃ হাজিগঞ্জে আলহাজ্ব বিল্লাল হোসেন ও ৮ নং ওয়ার্ডঃ শাহরাস্তিতে মোঃ জাকির হোসেন
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে যারা বিজয়ী হয়েছেন, ১নং ওয়ার্ডঃ আয়েশা রহমান
২ নং ওয়ার্ডঃ তাসলিমা আক্তার আঁখি
৩ নং ওয়ার্ডঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি।