শিরোনাম:
বিদ্যালয়ে পিয়ন থাকলেও শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে মাঠ পরিস্কার করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক ফরিদগঞ্জে ইংলিশ ডোরের উদ্বোধন ফরিদগঞ্জে ফারিসা’র নয়া কমিটি সভাপতি মোতাহার হোসেন, সম্পাদক মহেশ শর্মা চাঁদপুরে এসএ টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন চাঁদপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অসহায় শীতার্ত মানুষদের শীতবস্ত্র উপহার দিল চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স মতলব উত্তরে সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামী গ্রেফতার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বিক্রি বাড়াতে খুশি ক্ষূদ্র উদ্যোক্তারা রূপগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্রের অভিষেক ও পরিচিতি সভা

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় স্মৃতিচারণ  এদেশ হল মা মাটি মাতৃভূমি ,,,,,,,,,,,,,,স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ          সৈনিক ডঃ মনোরঞ্জন ঘোষাল

reporter / ১৪০ ভিউ
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁদপুর মুক্তিযুদ্ধের  বিজয় মেলায় স্মৃতিচারণ পরিষদের ব্যবস্থাপনায় গতকাল ২৯ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজয় মেলার চেয়ারম্যান অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণের  সভাপতিত্বে ও মুক্তিযুদ্ধা মহসিন পাঠানের সঞ্চালনায়
 প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ও বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ডঃ মনোরঞ্জন ঘোষাল।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাঙ্গালি হলে তিনটি শব্দ মানতে হবে, তা হলো বঙ্গবন্ধু, মিক্তিযুদ্ধ  আর বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর জম্ম না হলে এ দেশে লাল সবুজের পতাকা উড়তো না।কাটার মাস্টার  মুস্তাফিজ পেতাম না। আমাকে ৫০ বছর আগে আমি তো মরে গিয়ে ছিম। পাকিস্তান আমাদরে ৩০ বছর সাসন করেছে। তিনি আরো বলেন পাকিস্তানের জিয়াউল হকের আমন্ত্রণে আমি পাকিস্তানি গিয়েছিলাম তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তোমরা আমাদের সাথে এমন কেন করেছ। তিনি  চুপ করে ছিলেন। পাকিস্তানের জেনারেল কে আমেরিকার সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন বাঙালি জাতির সাথে কেন এই ধরনের কাজ করা হলো। কেনার বলেছিলেন হই তাতে দুঃখ নেই। বাঙালি নারীদের গর্ভবতী করতে বলা হয়েছিল। কেননা বাঙ্গালীদের অধিকাংশ ছিল ভারতীয় নাগরিক। বাংলাদেশ মুসলিম বৃদ্ধি করতে হবে সেজন্যই এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন বাঙালির স্বাধীনতার অধিকার আদায়ের জন্য বলেছিলাম বাঁশের লাঠি নিয়ে যুদ্ধ করতে। তিনি আরো বলেন আমার বড় ভাইকে পাকিস্তানিরা গুলি করে হত্যার পর নদীতে ফেলে দিয়েছিল। আমাকে হত্যার জন্য বহু চেষ্টা করা হয়। আমি ডুবা জলাশয় ও নদী সাঁতরিয়ে যুদ্ধ করেছি। শরীরের ময়লা কাদা ও বড় বড় জোক শরীরে লেগে থাকত। একদিন রাতের আধারে রাস্তায় এসে এক রিক্সা চালককে দেখতে পাই। সকালে আমি একটি ট্যাংক করে যাই সেখানে গিয়ে দেখি অনেক মা-বোনকে বিবস্ত্র  করে রাখা হয়েছে। যে মায়ের গর্ভ থেকে আমি এসেছি সেই মাকে এ অবস্থায়  দেখতে হলো। তারপর আমি কলকাতায় চলে যাই। সেখানে যাওয়ার পর তারা  বুঝতে পারল আমি বাংলাদেশী আমি ক্ষুধার্ত। আমি শিল্পী তা জানতে পেরে কলকাতার আকাশবাণী বেতার কেন্দ্রে  আমাকে ডাকা হয়। নজরুলের মতো ঝাঁকড়া চুলের এক লোক বসা। আমাকে যখন টাকা হবে তখন আমি বুঝতে পারলাম এখনে গান গাইতে হবে। আমি নজরুলের গান পছন্দ করি। আমাকে বলা হয় ১৫  মিনিট নজরুলের গান ও ১৫ মিনিট আধুনিক বাংলা গান গাইতে। ওই ছাত্রজোটের লোকটির নাম ছিল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি আরো বলেন টাঙ্গাইলের এম এ মান্নান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রস্তাব দেন। তারপর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র গঠন করা হয়। তোমরা প্রজন্মরা বঙ্গবন্ধুকে জানতে চাইলে তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়তে হবে। বঙ্গবন্ধু যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে আসে তখন তার পকেট ২৫ পয়সা ছিল।বাংলাদেশকে জানতে হলে নজরুলকে জানতে হবে। তবেই বাংলাদেশ ও স্বাধীনতাকে জানতে পারবে। বাংলাদেশ নামের এই দেশটি সৃষ্টি করেছেন যিনি তিনি জীবনের বেশিরভাগ সময় জেলে কাটিয়েছেন। এদেশ হল মা মাটি মাতৃভূমি। মা যেমন সন্তানকে বুকে আগলে রাখে তেমনি মাতৃভূমি ও আমাদেরকে আগলে রেখেছে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ আমরা স্বাধীন ভাবে বসবাস করছি আর তা সম্ভব হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে।
 অন্যান্য বক্তারা বলে, ১৯৯২ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হয় তখন থেকে আমরা সম্পৃক্ত ছিলাম।আমরা মুক্তিযুদ্ধ কে হৃদয়ে ধারন করে এ মেলা শুরু  করেছি। যারা মুকতিযিদ্ধের বিজয় মেলা কে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃস্টি করে তাদের সঠিক ভাবে জবাব দিতে হবে। শিশুদের কে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস নব প্রজম্মকে জানাতে মনোরঞ্জন ঘোষাল ছুটে যান। বাংলাদেশের যত গুলো জেলা রয়েছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ জেলা বরে আমরা মনে করি। তকারণ জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় চাঁদপুর অর্জন করে থাকে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান কখনো বলেনি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন। স্বাধীনতার পরবর্তি সময়ে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নিতে বলেন জিয়াউর রহমান স্বানতার ঘোষক।
আরো বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহাসচিব হারুন আল রশিদ , বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মোহাম্মদ, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য স্বপন কুমার সাহা।


এই বিভাগের আরও খবর