মতলব উত্তর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে বাঁশের চাঁই ব্যবহারে বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছের পোনা ও মাছ কমে যাচ্ছে। গ্রাম-গঞ্চে বাঁশের তৈরি চাঁই জলাশয়ে পেতে মাছের বংশ নষ্ট করছে এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা। অন্যদিকে বিভিন্ন খালে ও ডোবায় অধিক হারে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে মাছের বংশ বিস্তার করতে পারছে না। এসব অবৈধ চাঁই প্রতিরোধ করতে না পারলে দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদন কমে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অবৈধভাবে বাঁশের তৈরি চাঁই বিক্রি করে থাকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বৈশাখ থেকে ভাদ্র মাসের শেষ পর্যন্ত উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ধানীজমি ও খাল- বিল, ডোবা-নালাতে বাঁশের চাঁই পেতে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ ও মাছ শিকার করা হচ্ছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মাছ শিকারের জন্য ব্যবহারের নিয়ম কানুন না মেনে অবৈধভাবে চাঁই পেতে মাছ শিকারে মেতে উঠেছে অসাধু জেলেরা। তারা দুইসুতা পরিমান ফাঁকা রেখে চাঁই তৈরি করে ব্যবহার করছে।
ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ নষ্ট করছে। আর দেশীয় মৎস্য প্রজনন কমে যাচ্ছে। অন্য দিকে এ অঞ্চলের মানুষের মাছের আকাল দিন দিন বেড়েই চলছে। এমতাবস্থায় চাঁই ব্যবহার দ্রুত বন্ধ না করলে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে দেশীয় মাছের রূপকথার গল্পেরমত থেকে যাবে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম বলেন, চাঁই অপসারণের লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন হাট- বাজারে এবং খালগুলোতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হবে।