শিরোনাম:
বিদ্যালয়ে পিয়ন থাকলেও শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে মাঠ পরিস্কার করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক ফরিদগঞ্জে ইংলিশ ডোরের উদ্বোধন ফরিদগঞ্জে ফারিসা’র নয়া কমিটি সভাপতি মোতাহার হোসেন, সম্পাদক মহেশ শর্মা চাঁদপুরে এসএ টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন চাঁদপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অসহায় শীতার্ত মানুষদের শীতবস্ত্র উপহার দিল চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স মতলব উত্তরে সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামী গ্রেফতার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বিক্রি বাড়াতে খুশি ক্ষূদ্র উদ্যোক্তারা রূপগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্রের অভিষেক ও পরিচিতি সভা

মতলব দক্ষিণের কৃষি কার্যালয়ে কর্মকর্তার সংকট, কার্যক্রম ব্যাহত 

reporter / ১৫৮ ভিউ
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২

মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধিঃ মতলব দক্ষিণ উপজেলায় প্রধান কৃষি কর্মকর্তার পদ প্রায় চার মাস ধরে খালি। ওই পদ ছাড়াও কৃষি কার্যালয়ের আওতায় কৃষি কর্মকর্তার আরও ১০টি পদ গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে খালি। এতে কৃষকদের কৃষিবিষয়ক পরামর্শ, বিনা মূল্যে বীজ-সার বিতরণ ও তদারকি, আধুনিক প্রযুক্তিতে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি, পোকামাকড় দমন এবং বিভিন্ন প্রকল্পের প্রদর্শনী বাস্তবায়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন উপজেলার ১৯ হাজারের বেশি কৃষক।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম গত ১৬
সেপ্টেম্বর বদলি হন। এরপর প্রায় চার মাস ধরে ওই পদ খালি। এ ছাড়া কৃষি কার্যালয়ে কৃষি
সম্প্রসারণ কর্মকর্তার এক পদ ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তার এক পদ বিভিন্ন মেয়াদে খালি।
সূত্রটি জানায়, উপরে উল্লেখিত ওই তিন পদ ছাড়াও উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি
পৌরসভার ১৯টি কৃষি ব্লকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার ১৯ পদের মধ্যে ৮টি পদ তিন বছরের
বেশি সময় ধরে শূন্য। অবসরজনিত কারণে ২০১৯ সালে এসব পদ শূন্য হয়। যে আটটি ব্লকে কৃষি কর্মকর্তা নেই সেগুলো হচ্ছে পিতাম্বর্দী, আধারা, নায়েরগাঁও, খিদিরপুর, কালিকাপুর,
নারায়ণপুর, নওগাঁও ও করবন্দ। উপজেলায় মোট কৃষক ৪৫ হাজার ৫৫৯। ওই আট ব্লকে কৃষকের সংখ্যা ১৯ হাজার ১৭৬। উপজেলা কৃষি কার্যালয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কৃষি কর্মকর্তার মোট ২৩ পদের মধ্যে ১১টি পদ খালি। উপজেলার পিতাম্বর্দী এলাকার কৃষক লোকমান হোসেন বলেন, ‘প্রায় মাসখানেক আগে আমার সবজিখেতে পোকার আক্রমণ অইছিল। পরামর্শের লইগা স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার খোঁজ কইরাও পাই নাই। হুনছি , এ এলাকায় কৃষি কর্মকর্তা নাই।
তাছাড়া আমাগো এলাকায় কৃষি কর্মকর্তা না থাওনে আধুনিক পদ্ধতির চাষাবাদে ভালা পরামর্শ পাইতাছি না। বিনা মূল্যে সার ও বীজ বিতরণের কথাও প্রায়ই জানতে পারি না। রোগবালাই দমনে সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারতাছি না। নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অইতাছি। ফসল আবাদ কইরা ভোগান্তিও অইতাছে।’
উপজেলার বারগাঁও ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী আনোয়ারের ভাষ্য, নিজ
ব্লকে দায়িত্ব ছাড়াও পিতাম্বর্দী ও আধারা ব্লকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। একজনের পক্ষে তিনটি ব্লকের দায়িত্ব পালন কষ্টসাধ্য ব্যাপার। একই সঙ্গে তিন এলাকার কাজ করতে গিয়ে গলদঘর্ম হচ্ছেন। এতে কোনো কাজই ভালোভাবে করা যায় না। শূন্য পদে কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ খুবই জরুরি।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আয়েত আলী বলেন, মতলব
পৌর এলাকায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার ছয়টি পদ বিলুপ্ত করে ২০১৪ সালে একটি পদ করা হয়েছে। একজন কর্মকর্তার পক্ষে ওই ছয় পদের কাজ করা অসম্ভব। পৌর এলাকায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার আরও পাঁচটি পদ সৃষ্টি করা দরকার। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.সালাউদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তার অনেকগুলো পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি থাকায় কৃষি কার্যক্রমে গতি নেই। শূন্য পদে কর্মকর্তা দেওয়ার জন্য একাধিকবার জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালকের (ডিডি) কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর