মতলব উত্তরে অধিকাংশ ফিশারিজ, পুকুর ও দিঘিতে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা। রাসায়নিকযুক্ত বিষ্ঠা খেয়ে বড় হচ্ছে মাছ। এসব খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন মানুষ।
মাছের খাদ্য হিসেবে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানে না কেউ। উপজেলা মৎস্য কার্যালয় বলছে, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান সফল হচ্ছে না। প্রায় ৬০ ভাগ পুকুর ও দিঘিতে মাছের খাদ্য হিসেবে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহার করা হয়।
বিভিন্ন পথে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা স্তূপ করে রাখা হয়েছে। দুই পাশের শতাধিক ফিশারিজে মাছের খাবার হিসেবে এসব বিষ্ঠা ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলার ফিশারিজগুলোতেও দেখা যায় একই চিত্র। জমে থাকা বিষ্ঠার দুর্গন্ধে নাকাল পথচারীরা। সড়কের পাশে একটার পর একটা বড় বড় বিষ্ঠার স্তূপ উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। অতিগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো দিয়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং রোগীদের আসা-যাওয়া করতে হয়। বিষ্ঠার দুর্গন্ধে সড়কে চলাচলকারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে ফিশারিজ মালিক বলেন, মানুষ তো কত কিছু খেয়ে হজম করে ফেলতেছে! মাছের খাদ্য হিসেবে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা আমার জানা নেই।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, মুরগির বিষ্ঠার অ্যান্টিবায়োটিক রেসিডিউ, ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের ডিজি ইনফেকট্যান্ট থাকে। মাছের খাদ্য হিসেবে মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহার করলে সেগুলো পরে মানবদেহে প্রবেশ করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসান বলেন, ফিশারিজ, পুকুর ও দিঘিতে মাছের খাদ্য হিসেবে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহারের বিষয়ে আমি অবগত আছি। এ বিষয়ে মৎস্য বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। নিয়ম অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।