শিরোনাম:
মতলবে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, মালামাল লুট মতলব দক্ষিণে পরিত্যক্ত রান্নাঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার মতলব উত্তরে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল মতলব দক্ষিণে ভেটেরিনারি ফার্মেসীগুলোতে অভিযান, চাঁদপুরে সম্পত্তিগত বিরোধ : হাতুড়ির আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু মতলবে সরকারি গাছ নিধন: বনবিভাগ-এলজিইডির দোষারোপে জনরোষ মতলব উত্তরে নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত মতলব সরকারি কলেজে নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত আমিরা বাজার থেকে লতিফগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা চাঁদপুর ২ আসনের বিএনপি নেতা তানভীর হুদার রাজনৈতিক প্রচারণায় ডিজিটাল যাত্রা, চালু করলেন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

শীতকালীন সবজি চারা উৎপাদনে স্বাবলম্বী চাঁদপুরের কৃষকরা

reporter / ২৬৪ ভিউ
আপডেট : বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুর  জেলায় শীতকালীন সবজি চারা উৎপাদনে শীতকালীন সবজি চারা উৎপাদন করে  স্বাবলম্বী হয়েছেন চাঁদপুরের বহুসংখ্যক  কৃষক চাঁদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও সরজমিনে জেলার বিভিন্ন কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানায়ায়, এখন তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন । উঁচু জমিতে বীজতলা তৈরী করে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। চারা উৎপাদনে কৃষকদের প্রাথমিকভাবে বীজতলা তৈরীর কাজে মনোযোগী হতে হয়। পরবর্তীতে বীজতলার পরিচর্চা করতে করতে বিভিন্ন জাতের সবজি চারা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন জাতের এসব চারা বিক্রি করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। চাঁদপুরের চারা উৎপাদনকারী কৃষকরা বলেন, প্রতি বছর আগস্টের মাঝামাঝি বিভিন্ন জাতের চারা উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়। বীজ বোনা থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা বিক্রি করা হয়। প্রতি হাজার চারা ১হাজার  থেকে ১৫শ’ টাকায় বিক্রি হয়। এক মৌসুমে এক একটি বীজতলায় ৪-৫ বার চারা উৎপাদন করা হয় । প্রতি মৌসুমে আড়াই থেকে তিন কোটি চারা উৎপাদন হয়ে থাকে। যা সাড়ে ৩ কোটি থেকে ৪ কোটি টাকা বিক্রি হয়ে থাকে। এদিকে চাঁদপুর জেলা  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সবজি চারা উৎপাদন চাঁদপুর  দেশের মধ্যে প্রসিদ্ধ। চাঁদপুর  জেলায় অন্তত ২শ’ জন কৃষক শীতকালীন লাউ, কুমড়া, মরিচ, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাধাকপি, ব্রোকলি, সিম, চারা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত।  এ দিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী  গ্রামের সবজি চারা উৎপাদনকারী মোঃ বিল্লাল হোসেন বেপারী জানান, আগস্টের মধ্যভাগে ৬০ শতক জমিতে তিনি ফুলকপি, বাধাকপি চারা চাষ করেন । এতে তার ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। সে চারা প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে।
এছারাও ফরিদগঞ্জ উপজেলার সোবান গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর মিজি জানান, আমি এ বছর প্রায় ৩ একর জমিতে শীতকালীন সবজি চারা চাষ করেছি, এটি একটি ব্যয়বহুল ব্যবসা এতে আমার প্রায় ১৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমি এই চারা চট্টগ্রাম খুলনা সহ আশেপাশের জেলাগুলোতে বিক্রি করি এতে আমার প্রচুর লাভ হয়। এতে আমি স্বাবলম্বী  হয়েছি,তবে এবার ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারনে কিছু চারা নষ্ট হয়েছে। তবে আশারাখি তা পুষিয়ে নিতে পারবো। এ ছারাও  হাজিগন্জ উপজেলা বলাখাল ও ১০ নং গন্ধবপুর ইউনিয়নে শীতকালিন শবজি চারা উৎপাদন হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে কৃষক উত্তম দেবনাথ জানান আমি ফুলকপি বাঁধা কপি চারা চাষ করেছি প্রায় ৩০ শতক জমির মধ্যে সেখানে আমার ব্যয় হয়েছে দইলাখ টাকা। বিক্রি হবে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা।
বলাখালের কৃষক পরিতোষ রায় জানান, আমি প্রায় একশ শতক জমিতে বিভিন্ন রকমের শীতকালিন শবজি চারা চাষ করেছি তবে এবার ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে আমার সবগুলি চারা পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে, আমি অনেক আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পরেছি।উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেছি ওনারা আমাকে আশ্বাস দিয়েছে আমাকে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য সহযোগী করা করবে। এ ব্যাপারে হাজিগন্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলেন হাজিগন্জ উপজেলাতে কিছু কিছু জায়গায় শীতকালীন সবজি চারা চাষ হয়ে থাকে এবং এটা খুব লাভজনক ব্যবসা এখানথেকে চাঁদপুর জেলার কৃষক গন চারা কিনেনিয়ে চাষাবাদ করে। আমরা আমাদের যখন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় তখন তাদের কে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।
চাঁদপুর  জেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন  বলেন, এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে বেশিরভাগ বিভিন্ন জাতের সবজি চারা উৎপাদন করে থাকেন সদরের কৃষকরা। সবজি চারা উৎপাদন লাভজনক পেশা। কয়েকটি এলাকার কৃষক সবজি চারা উৎপাদনকে প্রধান পেশা হিসাবে নিয়েছেন। চারা উৎপাদনে জৈবসার ও খৈল ব্যবহার করা হয়। ফলে চারার গুণগত মান ভালো।  আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ সহ সার বিজ দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করছি।


এই বিভাগের আরও খবর