রিয়ন দেঃ চাঁদপুর শহরে ছাদ বাগানে মোঃ মমতাজ উদ্দিন মাসুদের সংগ্রহে ২২ জাতের আম ও ৫০ জাতের ফুল রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে প্রায় ১৫ প্রজাতির পাখি যা তাকে মানসিক সুখ খুঁজে নিতে সহায়তা করে এবং এসবকে তিনি বাণিজ্যিক রূপ দিতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
জানা যায়, মোঃ মমতাজ উদ্দিন মাসুদ চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং বৃক্ষপ্রেমী। তিনি ও তার পরিবার মিলে শহরের স্বর্ণখোলা সড়কের পাশে প্রায় ৫ শতাংশ জায়গার ওপর ভবন করেছেন। সেই ভবনের ওপর ১৮শ’ স্কয়ার ফিটের ছাদে তিনি ফলজ, বনজ, ঔষুধী ও শাক-সবজি চাষের পাশাপাশি পাখি লালন পালন করছেন।
২৬ আগস্ট শুক্রবার ওই ছাদে গিয়ে দেখা যায়, জাপানের পার্সিমন, রাম্বুটান, মিয়াজাকি, কিং চাকাপাত, ডোনাল্ডকিং, হাড়িভাঙ্গা আম, বারিফোর, আম রুপালিসহ দেশী বিদেশী প্রায় ২২ প্রজাতির আম। এছাড়াও লাল ও সাদা আঙ্গুর, পিংক কাঁঠাল, থাইল্যান্ডের বারোমাসি কাঁঠাল, নানা জাতের পেয়ারাসহ ফলজ, বনজ এবং প্রায় ৫০ জাতের ফুল গাছ।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মমতাজ উদ্দিন মাসুদ বলেন, ২০২১ সালের শুরুর দিকে অনলাইন থেকে অর্ডার করে শখের বসে আমার ছাদে ড্রামের মধ্যে কিছু ফল গাছ রোপন করি। যেখানে আমার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে কাজে সহযোগিতা করে। এখন এটাই আমার একমাত্র সময় কাটানোর স্থান।
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যখন আমি স্নাতকোত্তর ডিগ্রী শেষ করি। তখন ঢাকায় পড়াশোনা অবস্থাকালীন সময়েই পাখি পোশার আগ্রহ হয়। এখনও আমার সংগ্রহে ১৫ প্রজাতির পাখি রয়েছে। তবে আমি ছাদ বাগানের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় পাখি পোষার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছি।
বলা যায় সবুজের প্রতি আমার আগ্রহ ছোট বেলা থেকেই। এখন ছাদ বাগান করতে আগ্রহী দূর দূরান্তের অনেকেই আমার ছাদ বাগান দেখতে আসে। আমি তাদের পরামর্শ দেই, প্রথমে অল্প কিছু গাছ দিয়ে ছাদ বাগান শুরু করতে এবং কোন গাছ সম্পর্কে না জেনে তা ছাদ বাগানে রোপন না করার। এখন আমি এই ছাদ বাগানকে বাণিজ্যিক রূপ দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদরের কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, শহরের নাগরিকদের নিরাপদ ফলমূল শাক সবজি খাওয়ার জন্য ছাদ বাগান করার বিকল্প নেই। মাসুদ সাহেবের মতো আমাদের চাঁদপুর সদরে যাদের ভবনে ছাদ আছে। তারা চাইলে ছাদ বাগান সম্পর্কিত কারিগরি সহায়তা দিতে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।