সাহিত্য এক বিশাল জগৎ। এখানে সকলে চর্চা করা অসম্ভব ব্যাপার। সাহিত্য একাডেমি সমাজ ও সভ্যতার রাজ মুকুট। চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমি বাংলাদেশের মধ্যে অনন্য এক বৈশিষ্ট্য নিয়ে গড়ে উঠে ছিলো এবং অন্যতম মনে হয়েছিল। কিন্তু একজন ব্যক্তি মহাপরিচালকের পদটি গঠনতন্ত্র ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে দশটি বছর আকঁড়ে ধরেছিলেন সম্পূর্ন এক নায়কত্ব ও বেআইনী ভাবে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির বিগত কর্ম সময়ে মাসিক আড্ডা রেজিষ্টার খাতায় আমার ছয়ত্রিশটি উপস্থিতি রয়েছে। সেই সময়ে জেলা প্রশাসন থেকে বই প্রকাশের জন্য পান্ডুলিপি চেয়েছিলো। “কাব্য কনিকা” নামে পঞ্চাশটি কবিতা নিয়ে আমি একটি পান্ডুলিপি জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু কাজী সাহেব ও তার সিন্ডিকেটের কাছে সেই পান্ডুলিপিটি বিজয় লাভ করতে পারে নাই। অথচ সেই পান্ডুলিপির একটি কবিতা “আমার স্বাধীনতা” শিরোনামে “বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার” সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্থান পেয়েছে আপন চেষ্টায়। তাতেই আমি ধন্য ও কৃতজ্ঞ।
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমিকে নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে এর জন্য দায়ী কে এবং কারা ? নাকি ঐ একজনই যিনি মহাপরিচালক পদটি দশটি বছর আকঁড়ে ধরে ছিলেন। ইদানিং পত্রিকায় চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমি নিয়ে বেশ লেখালেখি হচ্ছে যদিও সত্য মিথ্যা এখনও অপ্রকাশিত। প্রশাসনের কাছে দাবি করবো বিষয়টি অতীব জরুরী এবং খতিয়ে দেখার জন্য। সাবেক প্রথম মহিলা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ স্যারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ চাঁদপুরের কিছু দুর্নীতিকে তিনি রুখে দিয়েছেন এবং দেশ ও জাতির সম্পদ দুর্নীতি থেকে রক্ষা করেছেন। ক্ষমতা বলে জেলা প্রশাসক সাহিত্য একাডেমির সভাপতি এবং সাহিত্য একাডেমির সভাপতি যে এডহক কমিটি নির্বারণ করেছেন তাহাই সত্য। আর কাজী সাহেব ও তার সিন্ডিকেট বিভিন্ন তালবাহানা করা মানে অর্থ লুটপাট, দুর্নীতি, সিন্ডিকেট অবৈধ ক্ষমতা ইত্যাদি কারণেই নতুন এডহক কমিটির কাছে হস্তান্তর করতে পারছেন না। পরিশেষে চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমি দুর্নীতি ও পদবি কুক্ষিগত করার বিচার চাই। নবীনদের মাঝে সাহিত্যের পশরা বিকশিত হোক এই পত্যাশাই রইল। ধন্যবাদ।