শিরোনাম:
কচুয়ায় তারুণ্যের উৎসব জাতীয় গোল্ডকাপ বালক অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত কচুয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরন মতলবের মেহরনে মাদক বিরোধী ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত চাঁদপুরে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী আহত, কিশোর নিহত মতলবের উদ্দমদী ওয়েফারার কমপ্লেক্সের মাহফিল সম্পন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ৩৬ জুলাই ঘিরে তরুণদের আগ্রহ কচুয়ার সাচারে আল শিফা হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্য লিফটের বিতরন ফরিদগঞ্জ পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত ফরিদগঞ্জে রাসূল (সাঃ) অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

মতলব উত্তরে লাইসেন্সবিহীন ফিজিওথেরাপী সেন্টারে রোগীর বেহাল দশা

reporter / ১৬৪ ভিউ
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২

মতলব উত্তর প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ছেঙ্গারচর বাজারে অবস্থিত ‘ছেঙ্গারচর পেইন ক্লিনিক ও ফিজিওথেরাপী সেন্টার’। এতে প্রতিদিন গড়ে ৬-৭ জন রোগীকে ফিজিওথেরাপী দেওয়া হয়। এই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিয়ে কেউ সুস্থ আবার কারো বেজে যাচ্ছে বারোটা। থেরাপী নেওয়ার স্থানে দেখা দিয়েছে চরম দুর্দশা। লাইনসেন্সবিহীন এই চিকিৎসা সেন্টারে নেই কোন অভিজ্ঞ ডাক্তার ও টেকনিশিয়ান।
উপজেলার রাঢ়ীকান্দি গ্রামের বোরহান উদ্দিন সরকারের ছেলে সোহাগ (২২) গত ৬ এপ্রিল থেরাপী নিতে এসেছিলেন। কিন্তু থেরাপী নেওয়ার পর থেকে বাম পা ভীষন ব্যাথা অনুভব করেন। এক পর্যায়ে অসহনীয় ব্যাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য না পাঠিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরদিন বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সোহাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। সেখানে জানতে পারেন তার পায়ে থেরাপী নেওয়ার কারণে অতিরিক্ত হীট লেগেছে। যার ফলে তার মাংস পেশী পুড়ে গেছে এবং হাড়ে হীট লেগেছে।
সোহাগ সাংবাদিকদের বলেন, আমি গতকাল (৬ এপ্রিল) থেরাপী নিতে গিয়েছি। এরআগেও থেরাপী নিয়েছি। কিন্তু ওইদিন যেন কিভাবে দিয়েছে বুজতে পারছিনা। এখন আমার পা নিয়ে ভিষণ যন্ত্রণায় আছি। সহ্য করতে না পেরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছি চিকিৎসা নিতে।
এদিকে ছেঙ্গারচর পেইন ক্লিনিক ও ফিজিওথেরাপী সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, তাদের সরকার অনুমোদিত কোন কাগজপত্র নেই। এমনকি লাইসেন্সও দেখাতে পারে নি কর্তৃপক্ষ। কোনরকম সরকারি অনুমোদন ছাড়াই এই থেরাপী সেন্টারটি পরিচালনা করছেন মোকশেদ আলম নামে একজন অনভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান।
মোকশেদ আলমের (বিটিপি) সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই ভালো মানের সেবা দিয়ে থাকি। কিন্তু সোহাগের থেরাপীর সময় একটু হীট বেশি লেগে যায়। এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এসময় এই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কিংবা সরকার অনুমোদিত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন লাইসেন্স প্রক্রিয়া চলমান আছে। আর অন্যকোন কাগজপত্র নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এবং রোগী এখানে এসে চিকিৎসা নিয়েছে। আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো


এই বিভাগের আরও খবর