মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধিঃ
মতলব দক্ষিণ উপজেলার মুন্সীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গায় দোকান ঘর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে মোঃ হুমায়ুন কবির প্রধানীয়া নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি মুন্সীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য। বিদ্যালয়ের পিছনে উত্তর দিকে মতলব – বাবুরহাট সড়কের পূর্ব পার্শ্বে একটি টিনের দোকান ঘর উত্তোলন করছেন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হয়ে নিজেই প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল করায় অভিভাবক,এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের মাঝে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ওই দোকানের দক্ষিণ পার্শ্বে মোল্লা লাইব্রেরি ( প্রোঃ জামাল) নামে একটি দোকান উত্তোলন করে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করে আসছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই দোকান ঘরটিও মুন্সীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গায় করা হয়েছে। মতলব পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল হাই বকাউল, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম হাজরা,সাবেক সদস্য জিএম খলিলুর রহমানসহ স্থানীয় ৮/১০ জন লোকের কাছে জানতে চাইলে তারাও বলেন হুমায়ুন প্রধানীয়া স্কুলের জায়গায় দোকান ঘর উত্তোলন করছেন। কমিটির আরেক সদস্য মাসুদ রানা প্রধান স্বীকার করে বলেন,হুমায়ুন কবির প্রধানীয়া যদি স্কুলের জায়গায় দোকান ঘর উত্তোলন করে থাকে তাহলে মোল্লা লাইব্রেরীর দোকানটিও স্কুলের জায়গায়। তবে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ভাল বলতে পারবে।।এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির প্রধানীয়া বলেন, তিনি স্কুলের জায়গা দখল করে দোকান উত্তোলন করেননি। স্কুলের জায়গার সীমানা ছেড়ে তার পৈত্রিক সম্পত্তির উপর দোকান উত্তোলন করেছেন।তিনি আরও বলেন,বিদ্যালয়টি যেখানে অবস্থিত ওই জায়গাটি তার দাদা মরহুম করিম বক্স প্রধানীয়া দান করে গেছেন। কতটুকু দান করেছেন তা ্র দলিল ও রেজিষ্ট্রি করা হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, হুমায়ুন কবির প্রধানীয়া স্কুলের জায়গা দখল করে দোকান ঘর উত্তোলন করার বিষয়ে কমিটির সভাপতি ও সদস্যদেরকে জানানো হয়েছে। যেহেতু তিনি তিনি দাবী করছেন তারা জমি দাতা এবং তাদের পৈতৃক সম্পত্তির উপর দোকান উত্তোলন করেছেন তাই তাকে অনুরোধ করে বলা হয়েছে স্কুলের জায়গার সীমান নির্ধারন না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখেন। জায়গা আপনাদের হলে পরে দোকান উত্তোলন করতে পারবেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তফা কামাল রনি বলেন,আমি যতটুকু জানি এবং কাগজপত্রে যা উল্লেখ রয়েছে সে অনুযায়ী হুমায়ুন কবির প্রধানীয়া যেখানে দোকান ঘরটি উত্তোলন করছেন সেটি স্কুলের জায়গার মধ্যে পড়েছে। আমরা মৌখিকভাবে তাকে নিষেধ করেছি দোকান ঘর উত্তোলন করতে। তা না মানলে, এলাকাবাসীর সহায়তা নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।