শিরোনাম:
বিদ্যালয়ে পিয়ন থাকলেও শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে মাঠ পরিস্কার করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক ফরিদগঞ্জে ইংলিশ ডোরের উদ্বোধন ফরিদগঞ্জে ফারিসা’র নয়া কমিটি সভাপতি মোতাহার হোসেন, সম্পাদক মহেশ শর্মা চাঁদপুরে এসএ টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন চাঁদপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অসহায় শীতার্ত মানুষদের শীতবস্ত্র উপহার দিল চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স মতলব উত্তরে সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামী গ্রেফতার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বিক্রি বাড়াতে খুশি ক্ষূদ্র উদ্যোক্তারা রূপগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ নাজিরপাড়া ক্রীড়া চক্রের অভিষেক ও পরিচিতি সভা

শাহরাস্তিতে ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের প্রতারণার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

reporter / ১৫৭ ভিউ
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
শাহরাস্তিতে ছোট ভাইয়ের সাথে বড়  ভাইয়ের সম্পত্তিগত প্রতারণার প্রতিকারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
১৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলার পূর্ব উপলতায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে শাহরাস্তি প্রেসক্লাব ও শাহরাস্তি সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানিকের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার একমাত্র পুত্র সোহেল চন্দ্র সাহা। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি সোহেল চন্দ্র সাহা, পিতা মানিক চন্দ্র সাহা, স্থায়ি ঠিকানা- টামটা কৃষ্ণপুর। আমি তাহার একমাত্র পুত্র সন্তান। পিতার শারিরীক অসুস্থ্যতার কারনে ওনার পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছি।
আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমার পিতা মানিক চন্দ্র সাহা উপলতা মৌজায় ২ দাগে সোয়া ২৭ শতক জায়গা ক্রয় করেন। বাবা দীর্ঘ বছর স্থানীয় ঠাকুর বাজারের ফুটপাতে ব্যবসা করে আসছেন। আমার পিতার নিজ নামে সাব কবলা খরিদমূলে ক্রয়কৃত জায়গার পিছনের অংশে আমার জেঠা নিখিল চন্দ্র সাহার ২০ শতক জায়গা রয়েছে। আমার জেঠা নিখিল চন্দ্র সাহার কনিষ্ঠ কন্যা জলি রাণী সাহার বিয়ের খরচ মেটাতে না পেরে জায়গা বেচার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ওনার জায়গা আমার পিতার জায়গার পিছনে থাকায় তিনি দ্রুত বিক্রি করতে পারছেন না এবং ওনার প্রয়োজনীয় টাকাও মূল্য হিসেবে পাচ্ছেন না। তাই তিনি আমার পিতার সামনের জায়গার সাথে ওনার পিছনের জায়গা এজবদল করার প্রস্তাব দেন। আমার পিতা তার বড় ভাইয়ের এমন কথায় ও বিশ্বাসে জায়গা এজবদলে সম্মত হন।
এরই মধ্যে মাঠ জরিপ করে আমার জেঠা ঠাকুর বাজার মহামায়া মুড়ার পূর্বদিকে সাহাপুর রোডের উত্তর পাশে ও মসজিদের পশ্চিমে আমার পিতার ৫ শতক জায়গা তিনি বুঝে নেন এবং তিনি আমার পিতাকে পিছনের জায়গা থেকে ৫ শতক জায়গা বুঝিয়ে দেন। আমার পিতা তার বড় ভাই নিখিল চন্দ্র সাহার বিপদের দিনে পাশে থাকতে বেশি মূল্যের জায়গার পরিবর্তে কম মূল্যের জায়গাটি গ্রহন করেন। তার কয়েক দিন পরই আমার জেঠা জায়গাটি বিক্রি করেন এবং নগদে টাকা গ্রহন করেন। এসময় জেঠা নিখিল চন্দ্র সাহা আমার পিতার কাছে যান এবং জায়গাটি রেজিস্ট্রি করে দিতে বলেন। আমার পিতা সহজ সরল বিধায় তিনি মোঃ হুমায়ুন কবির নামক এক ব্যক্তিকে ২০০৮ সালের ১৯ জুন তারিখে রেজিস্ট্রি করে দেন এবং জেঠার ৫ শতক জায়গা রেজিস্ট্রি করে দিতে বললে তিনি ওনার কন্যার বিয়ের পর রেজিস্ট্রি করে দিবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এভাবে তিনি দেই-দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করেছেন ১৪ বছর। তিনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কালক্ষেপন করছেন বিধায় আমার পিতা এবিষয়ে প্রতিকারের আশায় শাহরাস্তি পৌরসভায় এবং শাহরাস্তি মডেল থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। ওই সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার জেঠা বারবার স্বীকার করেন এবং বলেন জায়গাটি রেজিস্ট্রি করে দিবেন। কিন্তু তিনি অদ্যাবধি তা রেজিস্ট্রি করে দেননি। অথচ জায়গার বিক্রির টাকায় ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারী রবিবার তার কনিষ্ঠ কন্যা জলি রাণী সাহার বিবাহ প্রদান করেন। এক পর্যায়ে আমার পিতা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেন।
উক্ত জায়গার নথিতে রয়েছে, শাহরাস্তি পৌরসভাধীন উপলতা মৌজার সাবেক ২৪০, হালে ১১২৯ নং খতিয়ানের অধীনে ২৬৯৩ নং হাল দাগের অন্দরে সোয়া ২০ শতক জায়গা। যা আমার পিতা দখলদার থেকে ভোগ করছেন।
আমার পিতাকে জায়গার পিছনে তার জায়গা হতে মাঠ জরিপ করে  এযবদলের ৫ শতক জায়গা বুঝিয়ে দেয়ার পর তাতে আমার পিতা মাটি ভরাট করে বসবাস উপযোগী দুটি ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন।
কিন্তু এখানে এতবছর বসবার করার পরও তিনি আমার পিতাকে জায়গাটি রেজিস্ট্রি করে দেননি। অথচ তিনি মাঠ জরিপ করে বুঝিয়ে দেয়া জায়গাটি অন্যত্র বিক্রি করার পায়তারা করছেন যা আমার পিতা লোকমুখে  শুনতে পান। এসময় আমার পিতা জেঠার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। গত ২৯ মার্চ-২০২৩ইং তারিখে তিনি জানতে পারেন উক্ত জায়গা উপলতাবাসী জনৈক আবদুল কাইয়ুম নামক এক ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন। উক্ত জায়গা বিক্রির ৯দিন পর এযবদলের জায়গায় আমার পিতার নির্মিত দু’টি বসত ঘর রাতের অন্ধকারে আমার জেঠা পরিকল্পিতভাবে তার সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে ভাংচুর, লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে আমার পিতার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আমরা হত-দারিদ্র ও অসহায় বিধায় উক্ত ঘটনার প্রতিকার ও বিচার পাওয়ার প্রত্যাশায় এলাকার সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। নিখিল চন্দ্র সাহা একজন প্রতারক। এমন প্রতারকের হাত থেকে আমার পিতার জায়গাটি উদ্ধার করতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এবিষয়ে ধর্মীয় পবিত্র তীর্থস্থান শ্রী শ্রী মেহার কালীবাড়ি কার্যকরী সংসদ, শাহরাস্তি উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, হাজীগঞ্জ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, চাঁদপুর জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি।
এবিষয়ে স্থানিয় সংসদ সদস্য গরীব অসহায় মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয়ের নজরদারিতা ও সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


এই বিভাগের আরও খবর