শিরোনাম:
বর্ণিল আয়োজনে চাঁ.স.ক শিবিরের প্রকাশনা উৎসব কচুয়ায় একটি বাড়ি নিয়ে ‘ধৈয়ামুড়ি’ গ্রাম স্কুল মাঠে খেলতে গিয়ে আ*গু*নে ঝলসে যাওয়া বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে ফরিদগঞ্জে নোয়াপাড়া নাইট মিনি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন— মতলবে শিশু আদিবার হ*ত্যা*কারী ইমনের বসত*ঘর পুড়ি*য়ে দিলো উত্তে*জিত জনতা মতলব দক্ষিণে উষার স্পোটিং ক্লাবের কর্যালয়ে হামলা ও ভাং*চুর অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মতলবে জহির মিজির সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্য লিফটের বিতরন ও পথ সভা অনুষ্ঠিত মতলব উত্তর থানা পুলিশ কর্তৃক ০৯ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

লেংটার মেলার ১ম দিন- মতলব উত্তরে লেংটার মেলায় প্রকাশ্যে মাদকের রমরমা হাট

reporter / ১৫৮ ভিউ
আপডেট : শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২

মতলব উত্তর প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বদরপুর (বেলতলী) সোলেমান লেংটার মাজারে চলছে ১০৩তম ওরস। গতকাল ৩১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সাতদিনের এই ওরশ শেষ হবে আগামী ৬ এপ্রিল। অশ্লীল নৃত্য, মাদকের রমরমা আসর, ধর্মীয় গান ও মজমায় চলছে লেংটা বাবার মেলায়। তবে প্রকাশ্যে মাদকের রামরমা হাটের বিষয়টি চোখে পড়ার মতো। মেলায় মাদকের ৫ শতাধিক দোকান রয়েছে।

প্রতিদিন অশ্লীল নৃত্যের তালে তালে ছিটানো হচ্ছে টাকা। স্থানে স্থানে পাগলের ভক্তরা গাঁজার আসর বসিয়ে গাঁজা সেবন করছেন। মাদক সেবনে জোগ দিচ্ছেন দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আসা যুববরা। তারা মনে করেন লেংটার মেলায় এসেছেন আর গাঁজা খাবেন না তা কি করে হয়? সব মিলিয়ে এ যেনো ওরসের নামে মাদকসেবীদের মহামিলন।

সোলেমান লেংটা উপমহাদেশের একজন খ্যাতিমান আউলিয়ার দাবিদার। বাংলা ১২৩০ সালে কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার গোবিনাদপুর ইউনিয়নের আলীপুর নামক গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে শাহ্ সুফি সোলেমান লেংটা জন্ম গ্রহণ করেন। তার জীবনের অধিকাংশ সময়ই কাটিয়েছেন মতলবের বিভিন্ন অঞ্চলে। সোলেমান লেংটার বোনের বাড়ি বদরপুরে মাজারটি অবস্থিত।

১৩২৫ বাংলা সনের ১৭ চৈত্র শাহ্ সুফি সোলেমান লেংটা তার বোনের বাড়ি বদরপুর গ্রামে মৃত্যুবরণ করলে সেখানে কবর দিয়ে মাজার স্থাপন করা হয়। প্রতি বছর চৈত্র মাসের ১৭ তারিখে তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী ওরশ এবং মেলা বসে সেখানে। ৭ দিনের এ মেলায় আসা প্রতিটি দোকান থেকে ৫,১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। মাজারে মানত মানতে দেয়া হচ্ছে গরু, ছাগল, নগদ অর্থ, আগরবাতি ও মোমবাতি। প্রতিদিন উঠছে কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এখানে বাণিজ্য হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। এ টাকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না সরকার। অনেকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় মাদকসেবীরা মাজারের পশ্চিম অঞ্চলের পুকুরের পাড় ও পুকুর সংলগ্ন কাঠের বাগান এলাকা, ধনাগোধা বেড়িবাঁধ লাগোয়া বাঁধের ভিতর-বাহির, নদীরপাড়সহ বিস্তীর্ন এলাকাজুড়ে প্রায় ৫ শতাধিক মাদক বিক্রি ও সেবনের আস্তানা গেরে বসেছে। সকল প্রকার মাদক দ্রব্যই পাওয়া যায় এ মেলায়। আর প্রতিদিন বিকেল থেকেই জমতে থাকে এইসব মাদকের দোকান। চলে সারারাত। মেলা প্রাঙ্গণ যেন নেশার স্বর্গরাজ্য ও নিরাপদ স্থান। দলে দলে আস্তানায় চলছে মাদক সেবন। মেলা প্রাঙ্গণের বাতাসে বইছে গাঁজার গন্ধ।

উপজেলার চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ইসলামে মাদকের কোন সুযোগ নেই। আর বদরপুর মেলায় যদি মাদকের আস্তানা বসে থাকে তা ইসলাম কোনভাবেই সমর্থন করেনা।

মেলার আইন শৃংখলার দায়িত্বে থাকা মতলব উত্তর থানার ওসি (তদন্ত)মাসুদ জানান, মেলায় লাখ লাখ লোকের সমাগম হয়। মেলায় অনেক পাগল লোক আসে। মাদক বিক্রি ও সেবনের সময় আমরা সামনে গেলে তারা দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়।আর এভাবে আমরা কতজনকে আটক করবো?


এই বিভাগের আরও খবর