কচুয়া প্রতিনিধি \
কচুয়া উপজেলার বারৈয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফয়েজ আহমেদের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে নানা ভাবে হয়রানি ও নাজেহাল করার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফয়েজ আহমেদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বুধবার প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীসহ অপর দুই ছাত্রী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বারৈয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষক ফয়েজ আহমেদ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীতে ক্লাস নেয়ার ফাঁকে ওই তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময়ে অশালীন ভঙ্গি,কথাবার্তা ও কুরুচিপূর্ন আচরন করে আসছেন। দীর্ঘদিন এসব কর্মকান্ড সহ্য করেও মাত্রারিক্ত কর্মকান্ড বেড়ে যাওয়ায় অবশেষে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তারা। স্থানীয়রা জানান, পূর্বেও কয়েক বার শিক্ষক ফয়েজ আহমেদ তালুকদার এর এহেন কর্মকান্ডের জন্য কয়েক দফা সালিশ বৈঠক হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফয়েজ আহমেদ তালুকদারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভ‚ক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেন সরকার বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ফয়েজ আহমেদ বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের সাথে জরুরী বেঠক করে অভিযুক্ত শিক্ষক ফয়েজ আহমেদকে ক্লাস নেয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পাথৈর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আক্কাছ মোল্লা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। একজন শিক্ষকের ছাত্রীদের সাথে এমন আচরন খুবই দু:খজনক।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলী আশ্রাফ খান বলেন, বিষয়টি আমি প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে জেনেছি। অভিযোগ তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক ফয়েজ আহমেদ বলেন, আমি দুদিনের ছুটিতে ঢাকায় রয়েছি। এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে তিনি দাবি করেন।