মো.মজিবুর রহমান রনিঃ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কোরআনে হাফেজ কাউছার হত্যার ঘটনায় সন্দেহজনক ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ২দিন পর নিমার্ণাধীন ভবনের লিফটের গর্ত থেকে কোরআনে হাফেজ কিশোরের মৃতদেহ পুলিশের উপস্থিতিতে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
গত ২১ শে এপ্রিল শুক্রবার ঈদের আগের দিন চাঁদ রাতে নিখোঁজ হয়। গত ২৩ এপ্রিল রবিবার রাতে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ মাষ্টার পাড়া এলাকায় আজিজুল হক নামে এক প্রবাসীর নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের ফাঁকা গর্ত থেকে কোরআনে হাফেজ আব্দুল্লাহ আল কাউছার এর মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট। পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তারা। সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এ ঘটনায় কাউছারে পিতা মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে হাজীগঞ্জ থানায় ২৪ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাতে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ সন্দেহভাজন ৩জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড মাস্টার পাড়া এলাকার মুদি দোকানদার, ৫নং হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাউড়া গ্রামের হেলাল উল্ল্যাহর ছেলে ফয়েজ উল্লা ফয়েজ, পৌর এলাকার ১০নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমুড়া গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে সিফাত, পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা জাকির হোসেন মোহনের ছেলে মুনতাসির মামুন মিলন। এদের মধ্যে ফয়েজের বয়স ২৪ বছর, সিফাতের বয়স ১৮ বছর এবং মুনতাসির মামুন মিলনের বয়স ১৭ বছর।
ঘটনার দিন রবিবার রাতে লিফটের গর্তে প্রবাসী আজিজুর রহমানের ভবনের প্রহরী ছাবের আহাম্মদ ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম মৃতদেহ দেখতে পায়।
প্রহরী ছাবের আহাম্মদ ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম, নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের মালামাল দেখার জন্য ২য় তলায় যান। মালামাল দেখে আসার সময় নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের নিচ তলা লিফটের ফাঁকা গর্তে টর্চ লাইট মারলে লাশ দেখতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও থানায় গিয়ে পুলিশকে অবহিত করেন তারা।
হাফেজ আব্দুল্লাহ আল কাউছারের বাবা মোস্তফা কামাল মেঘনা পোস্ট কে জানান, তার ছেলে কোরআনে হাফেজ। রমজানের মাসে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় তারাবির নামাজ পড়ানো শেষে ঈদ করতে বাসায় ফেরেন। চাঁদ রাত অর্থাৎ শুক্রবার দিবাগত রাতে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন। তারপর তার বাসায় ফিরেনি। নিখোঁজের দুইদিন পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে তারা মকিমাবাদ মাস্টার পাড়ায় বাসা ভাড়া থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ী চাঁদপুর সদর উপজেলার পুরান বাজার এলাকা।
তবে হাফেজ আব্দুল্লাহ আল কাউছারের মা পেয়ারা বেগম মেঘনা পোস্টকে বলেন,
স্থানীয় কাউন্সিলর মো. শাহআলম বলেন, পূর্বে কারো সাথে কোন হট্টগোলের খবর জানা নাই।
খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে ও হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ জোবায়ের সৈয়দ।
অফিসার ইনচার্জ মো. জোবাইর সৈয়দ বলেন, এটি একটি হত্যাকান্ড হতে পারে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বিষয়টি উন্মোচন হবে। এটি পরিকল্পিত হত্যা কি না। এ ঘটনায় সন্দেহজনক ৩জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানায় এ বিষয়ে একটি অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।