শহিদুল জানান, সকাল সাড়ে ৬টায় খবর পায় বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লেগেছে। শনিরআখড়া থেকে দ্রুত তিনি চলে আসেন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে। এসে দেখেন পুরো মার্কেটে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিস পানি দিচ্ছে। কোনো কিছুতেই নিভছিল না আগুন।তার তিনটি দোকানসহ পুরো মার্কেট আগুনে পুরে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, চেয়ে চেয়ে দেখা আর আহাজারি করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তবে আশায় ছিলাম হয়ত আগুনের হাত থেকে বেঁচে যাবে এনেক্সকো টাওয়ার। সেখানে তার আরেকটি দোকান ও দুটি গোডাউন ছিল । কিন্তু সেই এনেক্সকো টাওয়ারেও আগুন জ্বলছে।
শাহরাস্তি থেকে শহিদুল ইসলাম মজুমদারের ফুলবাড়িয়া বঙ্গবাজার মার্কেটে ব্যবসায় হাতেখড়ি ১৯৯১ সালে। গত ৩২ বছরে পুঁজি বাড়িয়ে গড়েছেন চারটি দোকান। চার দোকানের মালামাল রাখার জন্য এনেক্সকো টাওয়ারে নিয়েছেন দুটি গোডাউন।ফুলবাড়িয়ার বঙ্গবাজারে বঙ্গ, আদর্শ, মহানগরী ও গুলিস্তানএই চারটি মার্কেট পাশাপাশি। সবগুলোই পুড়ে গেছে। এনেক্সকো টাওয়ারটা বাকি ছিল সেটাও জ্বলছে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতরের কেনাকাটাই সারা বছরের রোজগারের বড় উপলক্ষ্য। ঈদ উপলক্ষ্যে চারটা দোকানসহ ও গোডাউনে প্রায় আট কোটি টাকার মালামাল তুলেছিলাম।
এদিকে, বঙ্গবাজারে লাগা আগুন এখনো বাড়ছে। ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মার্কেটের চার দিক থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। বঙ্গবাজার মার্কেটে লাগা আগুন পাশের এনেক্সকো টাওয়ারেও ছড়িয়ে পড়েছে।
বঙ্গবাজারে যদি কয়েক হাজার দোকান থাকে সেখানে চাঁদপুর জেলার সদর, হাইমচর, হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি ও ফরিদগঞ্জের ব্যবসায়ী সবচেয়ে বেশি। ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি পোষাক মজুদ করেছিল। আজকের আগুনে ব্যবসায়ীদের সকল আশা আকাঙ্ক্ষা আগুনে পুরে নিমিষে ভস্ম হয়ে গেছে।