বিশেষ প্রতিনিধি : মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ওবন্ধু……………. ।
হ্যাঁ, দুরারোগ্য ব্যাধি ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌরসভাধীন ৪ নং ওয়ার্ডের নাওড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির মোঃ মোবারক হোসেন মোল্লা ও মরহুমা আমেনা বেগম দম্পতির তিন ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী নাজির হোসেন মোল্লা(৫৩)’র পাশে আর্থিক সহায়তা নিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন ‘শাহরাস্তি প্রবাসী মানব কল্যাণ সংস্থা’।
২ এপ্রিল (শনিবার) বিকাল ৫ ঘটিকার সময় শাহরাস্তি মানব কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সংস্থার অন্যান্য সদস্যগনের উপস্থিতিতে নাজির হোসেন মোল্লার হাতে নগদ সহায়তার অর্থ তুলে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সভাপতি দীন মোহাম্মদ, সহ-সভাপতি মোঃ আহসান উল্লাহ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবীব উল্ল্যাহ, কোষাধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ শাহাবুদ্দিনের ও ব্যবসায়ী মোঃ হোসেন আহমেদ। এই সময় পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ক্যান্সার আক্রান্ত নাজির হোসেন মোল্লার বর্ষীয়ান পিতা মোঃ মোবারক হোসেন মোল্লা।
উল্লেখ্য, কাতার প্রবাসী ব্যবসায়ী মোঃ মাহবুব আলম এবং আনছার আহমেদ সহ আরো বেশ কয়েকজন প্রবাসী ও দেশে থাকা অনেকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় হৃদ-দরিদ্র, খেঁটে খাওয়া মানুষের অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা সহ কন্যা দায়গ্রস্থ পিতার মেয়েকে পাত্রস্থ করা সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে তারা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। দীর্ঘদিন থেকে তারা নিরবে এই কাজ করে আসছেন।
এক প্রতিক্রিয়ায় ক্যান্সার আক্রান্ত নাজির হোসেন মোল্লা জানান যে, তিনি বিগত দেড় বছর যাবত অসুস্থতায় ভোগছিলেন। বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে, ধরা পড়ে। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানের জনক। তার বড় মেয়ে গতবছর এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে, দ্বিতীয় মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে লেখা-পড়া করছে এবং ছোট সন্তান ছেলে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তার কোন জমি-জিরাত নেই। একমাত্র ক্ষুদ্র ফার্নিচার ব্যবসা দিয়েই তার পরিবার পরিজনের ভরণপোষণ চলে আসছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারের একমাত্র উপার্যনক্ষম মানুষ হওয়ায় তার সন্তানদের পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। এদিকে, অসুস্থতার কারনে তার হাতে জমানে যা টাকা পয়সা ছিল তা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তিনি ইতিমধ্যে ৩ লক্ষাধিক টাকা এই অসুস্থতায় ব্যয় করে ২ লক্ষাধিক টাকা ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।
এদিকে, চিকিৎসকগন তাকে সম্পূর্ণ সুস্থতার জন্য দেশের বাইরে যাবার পরামর্শ দিয়েছেন। বর্তমানে তার দেশে বা বিদেশে চিকিৎসা করারমত কোন অর্থকড়ি নেই। তাই তিনি বিত্তশালীদের সহায়তা কামনা করেছেন। তাই আসুন না, আমরা সবাই মিলে তিন সন্তানের পিতা নাজির হোসেন মোল্লার পাশে দাঁড়াই।
অসুস্থ নাজির মোল্লাকে আর্থিকভাবে কেউ সহায়তা করতে চাইলে নিম্ন-লিখিত নম্বরে কথা বলতে পারেন এবং উক্ত নম্বরে বিকাশ করা আছে চাইলে ঐ নম্বরে অর্থ সহায়তা পাঠাতে পারেন।
নামঃ নাজির হোসেন (৫৩), পিতাঃ মোঃ মোবারক হোসেন মোল্লা , মাতাঃ মরহুমা আমেনা বেগম।
