স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুরের ইমাম হাসান লঞ্চের বিরুদ্ধে ধারণ ক্ষমতার ৩ গুণ বেশি যাত্রী পরিবহনের ঘটনায় চাঁদপুর নৌ থানায় মামলা দেয়া হয়েছে। মামলার পর পরই ‘টক অব দ্যা টাউন’ ইমাম হাসান লঞ্চের ঘটনায় কে বাদী? কে বিবাদী? এবং ধরা ছোঁয়ার বাইরে কে? ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়,
১৯ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা ২৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে রওনা দেয় ইমাম হাসান লঞ্চটি। কিন্তু লঞ্চটি ৩শ’ ৪৫ জনের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও যাত্রী নিয়েছিলো ১২শ’ এর অধিক। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। লঞ্চটি লঞ্চঘাট ত্যাগ করার মুহুর্তেই হেলতে শুরু করে। আর তখন সাধারণ যাত্রীরা যে যার মতো হুঁড়োহুঁরি করে লঞ্চ থেকে লাফ দিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে দাঁড়ায়। আর এতে আহত হয় অর্ধশত। পরে উত্তেজিত যাত্রীরা লঞ্চের মাষ্টারের ওপর চড়াও হলে তাকে উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ সময় লঞ্চটির সুকানি ও টিকেট কাটার কেও নিরাপদে জনরোশানল থেকে নৌ থানায় নিয়ে আসে নৌ পুলিশ। আর এর পরপরই কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে আড়াল করে লঞ্চঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটি এর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ সুমন। আর তার পরামর্শেই বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে লঞ্চ থেকে উদ্ধারকৃত ৩ জনের নামে দেয়া হয় মামলা। অনুসন্ধানে জানা যায়, মামলায় বিবাদী করা হয়েছে ইমাম হাসান লঞ্চের মাষ্টার কবির হোসেন, সুকানি পারভেজ, টিকিট কাটার আলামিন এর নামে। আর তাদেরকে ঘটনা ঠান্ডা হলে সুকৌশলে মামলা তুলে নিয়ে জেল থেকে বের করে আনতে মামলার বাদী করা হয়েছে ইমাম হাসান লঞ্চের মালিকের ভাগিনার ঘনিষ্টজন বোগদাদিয়া লঞ্চের সুপার ভাইজার যমুনা রোডের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে দেলোয়ার হোসেনকে। অতছ মামলার এজাহারে এই দেলোয়ারকে সাধারণ যাত্রী দেখানো হলেও মূলত তিনি লঞ্চঘাটের পরিচিত মুখ। আর এর পর পরই ঘটনা থেকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যান ইমাম হাসান লঞ্চের মালিকের ভাগিনা ও বিআইডব্লিউটিএ এর চাঁদপুর লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ সুমন। কেননা তার সিগনাল ছাড়া ঘাটের কোন লঞ্চ ছাড়ার ইকতেয়ার নেই। এমন অভিযোগ করেছেন ক্ষোদ ইমাম হাসান লঞ্চের মাষ্টার কবির হোসেন, সুকানি পারভেজ, টিকিট কাটার আলামিন। এদিকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় ইমাম হাসান লঞ্চের মালিকের ভাগিনা জসীমের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও বিআইডব্লিউটিএ এর চাঁদপুর লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ সুমন জানান, অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ায় আমি সাইন করিনি। বরং ওরাই আমাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাজারেরও বেশি মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করেছে। তদন্ত হলেও আমি যে নির্দোশ তা বেরিয়ে আসবে। প্রসঙ্গত, ইমাম হাসান লঞ্চটি ডুবার উপক্রম হওয়ার পর সাধারণ যাত্রীদের পরবর্তীতে মিতালি-৭ ও ঈগল-৯ লঞ্চে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।