হেমন্তের শুরুতে হালকা ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় উপকূলে এখন শীতের আমেজ বইতে শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় উপকূলীয় অঞ্চল চাঁদপুরের প্রত্যন্ত হাইমচর উপজেলায় শুরু হয়েছে খেজুর রস আহরনের মৌসুম।
কুয়াশায় উড়ছে সকালের বাতাসে,হাইমচর উপজেলার জনজীবনের স্বাভাবিক রুটিনে পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো।
রাস্তায়, জমিতে, কিংবা পুকুরের পাড়ে মাঠে -ঘাটে খেজুরের গাছের আশেপাশে মানুষের আনাগোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।খেজুর গাছ থেকে রস আহরণের জন্য নানা প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা
হাইমচর উপজেলার ছোটলক্ষীপুরের একজন গাছি জানান, আমি প্রায় তের বছর গাছ কেটে রস আহরন করছি কিন্তু বিগত বছর গুলোতে আমরা মাথায় করে গ্রামে ঘুরে রস বিক্রি করতাম এখন রস ক্রেতারা কিনার জন্য সকালে গাছের গোড়ায় আসে এবং রস কিনে নিয়ে যায় আগের থেকে রসের চাহিদা বেড়েছে কিন্তু খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়াও এখন চাহিদা পুরন করা যাচ্ছে না। এভাবে দিন দিন খেজুর গাছের সংখ্যা কমতে থাকলে কোন এক সময় হাইমচরে খেজুর রস পাওয়াটা দুঃসাধ্য হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাকিব খন্দকার বলেন, রস হলো গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য সৃষ্টাচার। প্রতিকুল পরিবেশ খেজুরের গাছ কমে যাচ্ছে। যার ফলে চাষিরা গাছ থেকে পর্যাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী রস আহরন না করতে পারায় রস খেতে পারচ্ছে না সাধারন গ্রাম বাংলার জনগোষ্ঠী।