চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে চলাচলের পথ বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে শতাধিক লোকজন গৃহবন্দী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত পরিবার সূত্রে জানাযায় বাড়ির চলাচলের পথ বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মানে বাড়ির ৫/৭ পরিবারের শতাধিক লোকজন গৃহবন্দী হয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের উনকিলা গ্রামের নোয়া বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী মৃত হাবিব উল্লাহর ছেলে মোঃ শামছুল হক (৬২) ও মোঃ ওমর ফারুক (৪৫), একই বাড়ির আব্দুল মমিনের স্ত্রী খাদিজা(৪২), মৃত আবুল হাশেমের ছেলে মোঃ আলম (৩৮) জানান, আমাদের দাদা, বাবারা দীর্ঘ ৫০ বছরের অধিক এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছি। বর্তমানে আমাদের বাড়ির অপর অংশিদার মৃত শহিদ উল্লাহর ছেলে মোঃ অহিদ উল্লাহ(৫২), আঃ রাজ্জাক (৪৫) ও মোঃ বাহার (৩৮) নিজের জায়গা দাবি করে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মান করে। নিরুপায় হয়ে আমরা অহিদ উল্লাহ গংদের বিবাদি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে প্রাথমিক ভাবে সীমানা পাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নিদের্শ দেয়।
এদিকে মৃত আবুল হাশেমের স্ত্রী ছকিনা বেগম (৫৫) জানান, আমাদের দির্ঘ দিনের চলাচলের পথ বন্ধ করায় বাড়ির লোকজন ও স্কুল, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা চলাচলে মারাত্মক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে, এছাড়া বাড়ির কোনো লোক মারা গেলে তার লাশ নিয়ে বাড়ি হতে বাহির হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। চলাচলের পথে আমাদের ও শামছুল হক ও ওমর ফারুক গংদেরও সম্পত্তি রয়েছে।
বাড়ির লোকজনের ও স্কুল, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য চলাচলের পথে আমরা কোনো বাধা দেইনি। অহিদ উল্লাহ গংরা রাস্তা না দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।বর্তমানে আমাদের বাড়ির চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া প্রতিবন্ধকতা হয়ে পড়েছি।
বাড়ি থেকে বের হতে লোকজন ও স্কুল,মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী অনেক কষ্ট ও দুর্দশা অবস্থা এবং চরম ভোগান্তি হচ্ছে। আমাদের অভিভাবক মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, এমপি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট প্রার্থনা করছি আমাদের বাড়ির চলাচলের পথ খুলে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা থেকে রক্ষা করে আমাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা জন্য আপনাদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকারি মোঃ অহিদ উল্লাহ জানান আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি পৌনে সাত শত, এর মধ্যে রয়েছে পোনে পাঁচ শতক। তাই আমাদের সম্পত্তির মধ্যে সীমানা প্রাচীর দিয়েছি। অন্য কারো জায়গার উপর বা চলাচলের পথে সীমানা প্রাচীর দেই নেই। পাশের অংশিদার এক হাত ছাড় দিলে আমি দুই হাত ছাড় দিবো বলে জানান। তিনি আরো জানান আমাদের সম্পত্তি বাহির করতে আমরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দ্বারস্ত হই। আমাদের করা অভিযোগটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিসে রয়েছে। আগামী ৩০ তারিখে বিষয়টি নিয়ে বসার কথা রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন মুশু বলেন, আমার অফিসে এ বিষয়ে উভয় পক্ষের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, আমি দুই বার উভয় পক্ষদ্বয়কে নিয়ে শুনানি করেছি। তৃতীয় দফায় শুনানি শেষে তারিখ ধার্য করা হয়। ওই ধার্য তারিখে বিবাদি পক্ষ আমার কার্যালয়ে না এসে আদালতে দ্বারস্থ হয়। বিষয়টি আদালতের একতেয়ার হওয়ায় আমি নিষ্পত্তি করতে পারি নাই।