নৌযান শ্রমিকেরা জানান, নদীতে যাত্রাবিরতি কিংবা আসা-যাওয়ার সময় স্পিড বোট ও ট্রলার দিয়ে মাঝ নদীতে ছোট বড় সকল নৌযানকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করা হয়। চাঁদার টাকা না দিতে চাইলে নৌযান চালকদের মারধর করে চাঁদাবাজেরা। এমনকি মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
নৌ থানা পুলিশ জানায়, জাহাজ ও অন্যান্য নৌযান থেকে ২০০ থেকে থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে থাকে বলে দাবি করেন নৌযান শ্রমিকেরা।
চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে একটি গ্রুপ নদীতে নৌযান থেকে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। ঈদ ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়েও নৌযান থেকে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজি রুখতে চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ নদীতে শনিবার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় তিন জনকে চাঁদা তোলার সময় হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।’
চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান আরও বলেন, নদীতে কোনোভাবেই অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করা যাবেনা। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে নদীতে নৌ পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।