শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জে আকাশচুম্বী বিদ্যুৎ বিলে গ্রাহকের মাটিচাপা ভোগান্তি সালিশ মানে না, রায় মানে না। কারা চালায় এমন অদৃশ্য শাসন ফরিদগঞ্জে দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, মাদ্রাসা সুপারসহ আটক ৩ মতলব দক্ষিণে ভুট্টার বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা মতলব দক্ষিণে ২ টাকার সিঙ্গারায় ভাগ্য পরিবর্তন ইয়াসিনের প্রেমের টানে ফরিদগঞ্জে মুসলিম মেয়ের বাড়িতে হিন্দু তরুণী ১৭ জন শিক্ষার্থীর স্বপ্নের সারথি হলে স্বপ্নের ফরিদগঞ্জ সংগঠন ফরিদগঞ্জ মানবসেবা ফাউন্ডেশন পথচারী ও এতিম শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ সম্পন্ন ফরিদগঞ্জে পৌর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এক্স  স্টুডেন্ট ক্লাব চাঁদপুরের  ইফতার ও দোয়া মাহফিল

শাহরাস্তিতে লিজের নামে রাতারাতি রেলের জমি অবৈধভাবে দখল

reporter / ২২৪ ভিউ
আপডেট : রবিবার, ২৯ মে, ২০২২

 বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ওয়ারুক বাজারের রেলক্রসিং সংলগ্ন এলাকায় লিজের নামে রাতারাতি রেলওয়ের জমি অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এক অবৈধ দখলদার।তিনি নিজেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয় দিয়েই রেলওয়ের জমি রাতারাতি দখলে নিয়েছেন।রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বে থাকা কতিপয় অসাধু কর্তা ব্যক্তির নির্দেশেই রাতারাতি এই অবৈধ দখলদার রেলওয়ের জমি হাতিয়ে নিয়ে ইতোমধ্যে অনুমতি ছাড়াই ভরাট করার অভিযোগ উঠে।রাতারাতি অবৈধভাবে দখল করা সেই ভূমিতেই অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে বসিয়েছেন ভাড়াটিয়া।মাসে মাসে নিচ্ছেন ভাড়া।এই অবৈধ দখলদার রেলওয়ের ভূসম্পত্তি দখল করে ভাড়া দিয়ে নিজের পকেট ভরলেও নির্বিকার রয়েছেন রেলওেয়ের পূর্বাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা।
জানা গেছে,চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ওয়ারুক বাজারের রেলক্রসিং এর পূর্ব পাশে ১৫১/৮ কিলোমিটার চিহ্নিত এলাকায় রেলওয়ের বেশির ভাগ জায়গা এখন এই অবৈধ দখলদারের হাতে।এই দখলদারের পিতা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ার সুবাধে ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তৎকালীন সময় থেকেই রেলওয়ের জমি অবৈধভাবে দখলের পরিকল্পনা করেন।সেই প্রয়াত প্রভাবশালী ব্যক্তির পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হওয়ায় এখন তাঁর গুনধর পূত্র রেলওয়ের জমি অবৈধভাবে দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করে আসছেন।দখলদার গুনধর পূত্র রেলওয়ে থেকে তাঁর প্রয়াত পিতার নামে জমি লিজ নেওয়ার কথা এলাকায় চাউর করে রাতারাতি রেলওয়ের জমি  দখল করলেও সংশ্লিষ্ট দফতরে তাদের নামে লিজ নেওয়ার কোনো রেকর্ড নেই বলে সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা গেছে।রেলওেয়ের পূর্বাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের  সঠিক নজরদারী না থাকায়  বর্তমানে ভরাট করা অংশে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই রাতারাতি স্থাপনা নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই দখলদার। এমনকি আগেও অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন।কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা আর্থিক লেনদের মাধ্যমে গোপনে এই অবৈধ দখলদারকে  ইন্ধন দিয়ে আসছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
চাঁদপুর লাকসাম রেলপথের চাঁদপুর অংশে রেলওয়ের সম্পত্তির বেশির  ভাগই দখল করে ভোগ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কার্যকর  কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দখল করা জমি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।রেল বিভাগের সংশ্লিষ্টরা এসব দেখেও দিনের পর দিন নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে।এতে বছরের পর বছর রেলের জমি বেদখলই থেকে যাচ্ছে। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। যখন অবৈধ দখল দৃশ্যমান হয় তখন রেলের কতিপয় কর্মকর্তারা নিজেদের রক্ষা করার তাগিদে নিজেদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে হলেও দখলদারদের বিরুদ্ধে সাময়িক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হন।


এই বিভাগের আরও খবর