রাজধানীতে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে রোববার সকাল থেকে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালের নেতৃত্বে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি যখনই কর্মসূচি দেয় তখনই জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়। জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। রাজনৈতিক ও জনগণের দল হিসেবে জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের দায়বদ্ধতা রয়েছে। জনগণের বিপদে-আপদে, সুখে-দুখে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ পাশে দাঁড়ায়, এটা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। বিএনপি আন্দোলন এক দফা অগ্নিসন্ত্রাস। কিন্তু আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থানের কারণে এই নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করতে পারেনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস আবার শুরু হয়ে গেছে। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের পুনরাবৃত্তি শুরু হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চুপ থাকতে পারে না। বিএনপির বলে- তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, ঢাকা শহরে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেবে। এটা কি তাদের বাপের সম্পত্তি। জবাব দিতে হবে, কেন আজকে একজন সজ্জন মানুষ প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা হল, পুলিশের গায়ে হাত তুলেছে, একজন পুলিশকে হত্যা করল, তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। “এসব বাড়াবাড়ি, অস্ত্রবাজি, বোমাবাজি, নোংরামির জবাব বাংলার মাটিতে অবশ্যই শাস্তি হবে। তাদের অপরাধের বিচার হবে। শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, ক্ষমা নেই।”
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জি আব্দুর রব ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড জহিরুল ইসলাম, সদস্য ওহাব জমাদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্টু দেওয়ান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আমির উদ্দিন মন্টু, জেলা যুব সংঘের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূইয়া, সদস্য অরূপ কর্মকার, কামরুজ্জামান লিটন, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাহফুজ বেপারী, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জু মাঝি, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুবুর রহমান, ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল রেজাউল করিম বিপ্লব, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাদশা খানসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।